• ঢাকা শনিবার
    ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রবর্তন করতে যাচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২২, ১২:৪৭ এএম

লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রবর্তন করতে যাচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

সিটি নিউজ ডেস্ক

লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এলএমএস) প্রবর্তন করতে যাচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) চট্টগ্রাম কলেজে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজ/শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে এলএমএস বাস্তবায়নের নিমিত্তে ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়েছে।

ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার প্রধান বাহন ভালো বই। শিক্ষার্থীদের হাতে যদি ভালো পাঠ্যবই তুলে দেয়া যায়, তাহলে নোট-গাইড নির্ভরতা অনেক কমে যাবে। আমাদের ভালো মানের বইয়ের খুবই অভাব রয়েছে।’

দেশের প্রথিতযশা এই সমাজবিজ্ঞানী বলেন, ‘কলেজ শিক্ষকরা যদি ভালো বই লেখার উদ্যোগ গ্রহণ করেন, তাদেরকে সকল ধরনের সহযোগিতা দেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। বই মুদ্রণ, বিপণন থেকে শুরু করে সকল দায়িত্ব গ্রহণ করবে বিশ্ববিদ্যালয়। শুধু তাই নয়, কলেজ শিক্ষকদের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষকদের সমান সুযোগ দেয়া হবে। তাদের এককালীন সম্মানী, প্রতিবছর রয়ালিটি দেয়া হবে। ভালো বই রচনায় যদি সময় বেশি লাগে তাতেও কোনো সমস্যা নাই। প্রয়োজনে দুই বছর সময় নিয়ে হলেও ভালো বই রচনায় মনোযোগী হতে হবে। আমরা পাশে থাকবো।’

শিক্ষকদের গবেষণায় মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে উপাচার্য ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘কলা, সায়েন্স, সোশ্যাল সাইন্সসহ সকল পর্যায়ে মানসম্পন্ন গবেষণা হওয়া আবশ্যক। আমাদের অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে। কিন্তু ভালো গবেষণা প্রস্তাব আপনারা জমা দিলে কোনো ধরনের অর্থ সংকট হবে না। আমরা সেই অর্থের সংস্থান করবো। কারণ স্বচ্ছতার জায়গায় আমাদের কোনো ঘাটতি নেই। শিক্ষার মানোন্নয়নে সকল ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণে আমরা প্রস্তুত আছি। এলএমএস এর কাজটি যদি আমরা ভালোভাবে করতে পারি তাহলে প্রয়োজনে সরকারি অর্থায়নও আমরা নিতে পারবো।’

তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ করে গড়ে তোলার বিকল্প নেই উল্লেখ করে উপাচার্য ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘আমাদের জনবলকে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলতে হবে। তাদের মানস গঠন পাশ্চাত্যের হুবহু অনুকরণে হবে সেটি আমাদের কাঙ্ক্ষি ক্ষত নয়। আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির আদলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে উঠুক। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় তারা বেড়ে উঠুক। তারপরে সে দক্ষ মানুষ হোক, বিশ্ব নাগরিক হোক। যে কিনা দেশকে ভালোবাসবে। এই শ্রেণিকে যদি ভালোভাবে নার্সিং করে গড়ে তোলতে পারি তাহলে বাংলাদেশ একটি শক্ত ভিতের উপর দাঁড়াবে।’

চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মুজাহিদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য-প্রযুক্তি দফতরের পরিচালক মো. মুমিনুল ইসলাম, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দফতরের পরিচালক সুমন চক্রবর্তীসহ চট্টগ্রাম বিভাগের ৫৪টি কলেজের অধ্যক্ষ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।

আইএ/এএল

আর্কাইভ