• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বর্ষায় শিশুকে সুরক্ষিত রাখবেন যেভাবে

প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২১, ১২:২৯ পিএম

বর্ষায় শিশুকে সুরক্ষিত রাখবেন যেভাবে

সিটি নিউজ ডেস্ক

গ্রীষ্মের তীব্র তাপদাহ শেষে স্বস্তি হিসেবে আসে বর্ষা। তবে এ স্বস্তিকে অস্বস্তি বানিয়ে দেয় বিভিন্ন রোগবালাই। বিশেষ করে বর্ষার শুরুতেই চারদিকে আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত রোগবালাই দেখা দিতে শুরু করে। বেড়ে যায় ঠাণ্ডাজনিত রোগ। সঙ্গে বাড়ে মশার প্রকোপ। 

ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়াসহ ফ্লু বা ভাইরাসজনিত রোগগুলো তো রয়েছেই, সেইসঙ্গে মাংসপেশি ও জয়েন্টের ব্যথা ব্যাপক আকার ধারণ করে। এ ছাড়া বন্যাকবলিত এলাকায় বেড়ে যায় কলেরা ও ডায়রিয়ার মতো রোগ। এ সময় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে শিশুরা।

বেশিরভাগ শিশুই বর্ষাকালে ঠাণ্ডায় ভোগে। এ কারণে বর্ষা এলে শিশুর বিশেষ যত্নের প্রয়োজন হয়। এ সময় শিশুর খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে গোসল ও পোশাক নির্বাচনের সময়ও অভিভাবকদের বিশেষ যত্নবান হতে হবে। ঘরোয়া উপায়ে শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। জেনে নিন বর্ষায় শিশুর সুরক্ষায় করণীয়-

১। বর্ষায় শিশুদের বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার রাখা জরুরি। ভিটামিন ও মিনারেলযুক্ত বিভিন্ন ফলমূল ও শাকসবজি রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় যাতে পরিমিত পরিমাণে ভিটামিন এ, বি ও সি থাকে, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।

২। এ সময় শিশুকে বাইরের খাবার খাওয়াবেন না। কলেরা ও টাইফয়েডের জীবাণু খোলা খাবারে থাকতে পারে। তাই শিশুকে টাটকা ও গরম খাবার খাওয়ান। খাবার ঢেকে রাখুন।

৩। পানি ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে শিশুকে পান করাতে হবে। ছোট শিশুর দুধ বানানোর সময় ফোটানো পানি ব্যবহার করতে হবে। পানিবাহিত রোগগুলো থেকে বাঁচতে বিশুদ্ধ পানি খাওয়াতে হবে শিশুকে।

৪। ঘর শুকনো ও পরিষ্কার রাখতে হবে সবসময়। শিশুর ঘর যেন স্যাঁতস্যাঁতে না থাকে। ঘরে যাতে নিয়মিত আলো-বাতাস প্রবেশ করে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

৫। ঘরের চারপাশ পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে; যেন সেখানে মশার বসতি না হয়। বৃষ্টির সময় শিশুকে বাইরে বের হতে না দেয়াই ভালো।

৬। বর্ষায় তাপমাত্রা ঠাণ্ডা থাকায় শিশুদের গোসলে অনীহা দেখা যায়। তবে নিয়মিত গোসল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দিনের সবচেয়ে উষ্ণ সময়ে বাচ্চাদের গোসল করাতে হবে। গোসলের জন্য হালকা গরম পানি ব্যবহার করতে হবে। গোসলের পানিতে কয়েক ফোঁটা স্যাভলন বা ডেটল অ্যান্টিসেপটিক লিকুইড মিশিয়ে দিতে পারেন।

৭। শিশুদের পা সবসময় শুকনো রাখতে হবে। বর্ষায় ঘরের ভেতর সবার স্লিপার ব্যবহার করা উচিত। মশা থেকে অতিরিক্ত সুরক্ষার জন্য শিশুর পুরো শরীর ঢেকে থাকে; এমন পোশাক পরানো উচিত।

৮। এ সময় সুতির পোশাক পরাতে হবে শিশুকে। ঘুমানোর সময় শিশুকে মশারির মধ্যে রাখতে হবে। মশা নিরোধক স্প্রে বা ভালো মানের কয়েল ব্যবহার করতে হবে।

প্রতিরোধ ব্যবস্থাই শেষ কথা নয়। শিশুর ফ্লু সংক্রমণ সন্দেহ হলে অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। বিশেষ করে করোনা মহামারির এ সময় ঠাণ্ডাজনিত রোগ একেবারেই অবহেলা করবেন না।

বর্ষায় সব জায়গা ভেজা থাকে। সাপ, কেঁচো, তেলাপোকাসহ বিভিন্ন পোকামাকড়ের উপদ্রব বাড়ে। এগুলো থেকে শিশুকে দূরে রাখতে হবে। মশার কামড় এ সময়ে বিপজ্জনক হতে পারে। মশারি ব্যবহারের পাশাপাশি রুমটাও যেন মশামুক্ত থাকে, সেদিকে নজর দিতে হবে।

মামুন/সবুজ/এএমকে
আর্কাইভ