• ঢাকা শনিবার
    ১১ মে, ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন নির্বাচন কমিশন দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না: ফখরুল

প্রকাশিত: মার্চ ১৬, ২০২২, ০৯:১৭ পিএম

নতুন নির্বাচন কমিশন দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না: ফখরুল

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নতুন নির্বাচন কমিশন নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পারবে না। তাই আমাদের দাবি, নির্বাচনকালীন অবশ্যই পদত্যাগ করে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের কাছে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে জবাবদিহিমূলক পার্লামেন্ট গঠন করতে হবে।

 বুধবার (১৬ মার্চ) দুপুরে ঘিওর উপজেলার পাঁচুরিয়ায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপির সাবেক মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার কবর জিয়ারত করেন। এরপর তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।


মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমান সময় ১/১১-এর চেয়েও ভয়াবহ অবস্থায় চলেছে। সারাদেশে বিএনপির ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। ছয় শতাধিক নেতাকর্মী গুম রয়েছে, সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে।’

মহাসচিব আরও বলেন, ‘নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন, সরকার নিয়ন্ত্রণ করতেই পারে না। এই সরকারের নিয়ন্ত্রণ করার কোনো ক্ষমতা নেই। কারণ সরকারই এই দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি করেছে। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সঙ্গে এই সরকারের মন্ত্রী, এমপি নয়তো দলের লোক জড়িত। এই সরকার বাংলাদেশের সব সম্ভাবনাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষকে একটা ভায়াবহ অবস্থার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সরকারের এই ব্যর্থতার ফল ভোগ করছে সাধারণ মানুষ।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভোটারবিহীন সরকারকে অনেক সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আগামী নির্বাচনের আর কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। জনগণের বাঁধ ভেঙে গেছে, জনগণই প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। জনগণের সরকার করতে হলে নির্বাচনকালীন একটা নিরপেক্ষ সরকার লাগবে। আওয়ামী লীগের অধীনে এটা হবে না।'

‘নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার দাবিতে আন্দোলনের বিকল্প নেই।’

এ সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএ কবির জিন্নাহ, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মো. জামিলুর রশিদ খান, দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ড. খোন্দকার আকবার হোসেন বাবুল, খোন্দকার আকতার হোসেন জগলুসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন ১৯৩৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঘিওর উপজেলা বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের পাঁচুরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ২০১১ সালের ১৬ মার্চ সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি মানিকগঞ্জ-১ (ঘিওর, দৌলতপুর) আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন এবং সংসদীয় দলের চিফ হুইপ ও ২০০৭ সাল থেকে আমৃত্যু মহাসচিবের দায়িত্ব পালনও করেন।

কেজেড/এফএ

আর্কাইভ