প্রকাশিত: মার্চ ২২, ২০২৩, ০২:৪৯ এএম
লেবুর সরবত, চা অথবা আচারের সঙ্গে অনেকেই পরিচিত। তবে ব্যতিক্রমভাবে এ লেবু উপস্থাপন করে আলোচনায় খুলনার মো. রানা। তার তৈরি `লেবুর পিনিক` মন কেড়েছে তরুণ-তরুণীদের। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের খান জাহান আলী হলের গেটের সামনে বিকেল থেকে ভিন্ন স্বাদের এই লেবু খেতে ভিড় করেন অনেকেই। যা খেতে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নয়, দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন ভোজন প্রিয় মানুষ।
টক ও ঝাঁঝালো এই লেবুর পিনিক খেতে নগরীর নিউ মার্কেট এলাকা থেকে এসেছেন সিনথিয়া। তিনি জানান, বন্ধুদের মাধ্যমে এই খাবার সম্পর্কে শুনেছেন। তাই তাদের নিয়ে আজ খেতে এসেছেন।
সিনথিয়া বলেন, লেবু খেতে যেমন স্বাদ, লেবুর পিনিকের স্বাদ অনেক ব্যতিক্রম। আর মেয়েদের আকর্ষণে রয়েছে টক আর ঝাল। যা এই খাবার মধ্যে শতভাগ রয়েছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের খান জাহান আলী হলের গেটের পাশে বট গাছের নিচে তিন চাকার একটি ভ্যানের ওপর রানার দোকান। তিনি এখানে সবার কাছে রানা মামা হিসেবে পরিচিত।
লেবুর পিনিক বিক্রেতা রানা বলেন, আট মাস আগে এক ক্রেতা এসে তার কাছে লেবুর পিনিক খেতে চান। সে সময় এ খাবার সম্পর্কে তার কোনো ধারণা ছিল না। তবে সেই ক্রেতার পরামর্শ অনুযায়ী অনলাইন থেকে তিনি এই পিনিক তৈরির রেসিপি দেখেন। তারপর থেকে তার দোকানে এই লেবুর পিনিক বিক্রি করেন। এখন তার তৈরি এই খাবার খেতে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ আসেন।
লেবুর খোসা ছাড়িয়ে পিস পিস করে কেটে বিভিন্ন মসলা, লবণ, শুকনো মরিচের গুড়ো ও সরিষার তেল দিয়ে তৈরি করা হয় এই পিনিক। আর ভিন্ন স্বাদের এই রেসিপি তৈরির পর থেকে বিক্রি বেড়েছে কয়েকগুণ। প্রতি প্লেটে সাত পিস লেবুর পিনিক দেওয়া হয়। যার মূল্য ২০ টাকা।
শুধু এই খাবার নয়, পুরি, সমুচা, ঝাল মুড়ি, পিঁয়াজুসহ বিভিন্ন মুখরোচক খাবার বিক্রি করেন রানা। প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বিক্রি হয় এই লেবুর পিনিক।