• ঢাকা শনিবার
    ১১ মে, ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকা-জয়দেবপুর সড়ক অবরোধ করে শ্রমিক বিক্ষোভ

প্রকাশিত: আগস্ট ২, ২০২৩, ০৫:৫৩ পিএম

ঢাকা-জয়দেবপুর সড়ক অবরোধ করে শ্রমিক বিক্ষোভ

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুর প্রতিনিধি

বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে উত্তেজিত শ্রমিকরা ঢাকা-জয়দেবপুর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

বুধবার (২ আগস্ট) সকাল থেকে ঢাকা-জয়দেবপুর ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন স্টাইলক্রাফট পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। সড়ক অবরোধের কারণে ওই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও পথচারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে পুলিশ।

আন্দোলনরত শ্রমিকদের অভিযোগ, সিটি করপোরেশনের তিন সড়ক এলাকায় অবস্থিত স্টাইলক্রাফট নামের ওই তৈরি পোশাক কারখানায় প্রায় তিন হাজার শ্রমিক কাজ করেন। মালিক পক্ষের কাছে জুন, জুলাই মাসের বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাস পাওনা রয়েছে। বকেয়া বেতন-ভাতা নিয়ে তাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। এর প্রেক্ষিতে গত ২৬ জুলাই কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরে মালিক পক্ষের সঙ্গে শ্রমিকদের সমঝোতা চুক্তি হয়।

চুক্তি অনুযায়ী মঙ্গলবার (১ আগস্ট) তাদের বেতন পরিশোধ করার কথা। কিন্তু পাওনা আদায় না করে মালিকপক্ষ কারখানা বন্ধ করে নোটিশ টাঙিয়ে দেয়। বুধবার (২ আগস্ট) সকালে কাজে যোগ দিয়ে শ্রমিকরা বন্ধের নোটিশ দেখতে পেয়ে আন্দোলনে নামেন।

কয়েকজন শ্রমিকের অভিযোগ, চলতি মাসসহ তিন মাসের বেতন বকেয়া থাকায় বাড়ি ভাড়া, দোকানের বাকি টাকা পরিশোধ করতে গিয়ে তারা হিমশিম খাচ্ছেন তারা। অনেকেই মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন। তাই অবিলম্বে বেতন ভাতা পরিশোধে সরকার ও প্রশাসনের সহযোগিতা চাইছেন শ্রমিকরা।

শিল্প পুলিশের পরিদর্শক মো. রেজাউল করিম বলেন, বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরে শ্রমিকদের সঙ্গে কারখানার মালিকের সমঝোতা চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী ১ আগস্ট জুন মাসের বেতন ও ৮ আগস্ট শ্রমিকদের ঈদ বোনাস দেয়ার কথা। কিন্তু মালিকপক্ষ কিছু পরিশোধ না করেই কারখানা ছয় দিনের বন্ধ ঘোষণা করেন। বুধবার সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগদান করতে এসে বন্ধের নোটিশ দেখতে পেয়ে উত্তেজিত হয়ে আন্দোলনে নামেন।

শিল্প পুলিশের ওই পরিদর্শক আরও বলেন, শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল করে জয়দেবপুর-ঢাকা সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের দাবি পূরণের জন্য মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলছে। বিষয়টি পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে মালিকপক্ষ জানিয়েছে, বেতনের টাকা সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হওয়ায় কারখানা ছয় দিন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

 

সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

 

জেকেএস/

আর্কাইভ