• ঢাকা বুধবার
    ১৫ মে, ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

উৎপাদনের ভরা মৌসুমে দ্বিতীয় দফায় খরার কবলে চা বাগান, লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কা

প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২৩, ০৭:০১ পিএম

উৎপাদনের ভরা মৌসুমে দ্বিতীয় দফায় খরার কবলে চা বাগান, লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কা

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

উৎপাদনের ভরা মৌসুমে দ্বিতীয় দফায় খরার কবলে মৌলভীবাজারের চা বাগান। পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের অভাবে জেলার প্রায় পাঁচ শতাংশ বাগানের চাগাছ নষ্ট হয়ে গেছে। আবার গাছে নতুন কুঁড়ি আসছে না। তাই চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সম্প্রতি মৌলভীবাজারের চা বাগানগুলোয় সরেজমিন দেখা গেছে, ছোট-বড় পাহাড়-টিলার উঁচু-নিচু মাঠজুড়ে চা বাগান। উৎপাদনের ভরা মৌসুমে এসেও পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়া আর অতিরিক্ত তাপমাত্রায় বাগানের সবুজ সজীবতা অনেকটা নষ্ট হয়ে গেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চা উৎপাদনের স্বাভাবিক নিয়মে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি ২০ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকা দরকার। অথচ গত এপ্রিল থেকে মৌলভীবাজারে তাপমাত্রার পারদ ৩৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে।

এ বিষয়ে মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বলেন, ‘বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের তুলনায় কম হচ্ছে। পাশাপাশি সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মনে হচ্ছে। আমরা সাধারণত যেটি বুঝতে পারছি যে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই মূলত এটি হচ্ছে।’

এরই মধ্যে মৌলভীবাজারের চা বাগানের প্রায় পাঁচ শতাংশ চাগাছ বৃষ্টির অভাবে এবং রোদের তাপে পুড়ে গেছে। এ ছাড়া বাগানগুলোতে লাল মাকড়সার আক্রমণসহ নানান রোগবালাই ছড়িয়ে পড়ছে। অনেকে কীটনাশক ছিটিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। এ অবস্থায় পর্যাপ্ত পাতা উত্তোলন করতে না পারায় বেকায়দায় পড়েছেন নারী চা শ্রমিকরা।

তারা জানান, যে পরিমাণ চাপাতা উত্তোলন করার কথা, সেই পরিমাণ উত্তোলন করা যাচ্ছে না। এতে  ফ্যাক্টরি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

তবে চা শিল্পকে বৈরী আবহাওয়া থেকে বাঁচাতে বাগানগুলোতে কৃত্রিম জলাধারে পানি সংরক্ষণের পরামর্শ দিয়েছেন টি প্ল্যান্টার্স ও টি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের পরিচালক জহর তরফদার। তিনি বলেন, ‘পানির কৃত্রিম জলাধার তৈরি করতে হবে। সেটি থেকে বাগানে পানি দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এটি করতে পারলে চায়ের উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করি।’


এদিকে সিলেট শাখার বাংলাদেশ টি-অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান জি এম শিবলী বলেন, ‘আগামী মাসগুলোয় যদি আমরা পর্যাপ্ত বৃষ্টি পাই এবং সেই সঙ্গে সূর্যের আলো পাই, তাহলে হয়তো আমরা আমাদের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারব।’

বাংলাদেশ চা বোর্ডের দেয়া তথ্যমতে, চলতি বছর ১০ কোটি ২০ লাখ কেজি চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

 

জেকেএস/

আর্কাইভ