• ঢাকা মঙ্গলবার
    ১৪ মে, ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১

দেবীগঞ্জ আ. লীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থীদের বহিষ্কার

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২১, ১০:২৪ পিএম

দেবীগঞ্জ আ. লীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থীদের বহিষ্কার

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

দলীয় শৃঙ্খলা গঠনতন্ত্র অমান্য করে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে প্রার্থী হওয়ায় আওয়ামী লীগের চার মেয়র বিদ্রোহী প্রার্থীকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগ।

বৃহস্পতিবার ( সেপ্টেম্বর) বিকেলে পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাটের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়।

বহিষ্কৃতরা হলেন- দেবীগঞ্জ উপজেলা শাখা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুর নেওয়াজ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন নিউটন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হওয়া দেবিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড অনুযায়ী দেবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীকে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পৌর নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত মনোনয়ন প্রদান প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়। তবে এই চ্যালেঞ্জ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে দলের উপজেলা পৌর আওয়ামী লীগের চারজন ব্যক্তি নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। যা দলীয় শৃঙ্খলা গঠনতন্ত্রের চরম পরিপন্থী গঠনতন্ত্রের ৪৭ () ধারার সম্পূর্ণ লংঘন। এই চার ব্যক্তি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি এবং দলের গঠনতন্ত্র অমান্য করে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে দলের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন তাই কেন্দ্রীয় বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক রোববার ( সেপ্টেম্বর) লিখিত আকারে চারজন বিদ্রোহী প্রার্থীকে দলীয় পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার গঠনতন্ত্রের ৪৭ এর () এবং () ধারা মোতাবেক কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নিকট স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য প্রেরিত হয়।

বিষয়ে পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট জানান, তারা দলীয় শৃঙ্খলা গঠনতন্ত্রের চরম পরিপন্থী গঠনতন্ত্রের ৪৭ () ধারার সম্পূর্ণ লংঘন করেছেন। তাই দলের নিয়ম অনুযায়ী তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়।

নূর/এম. জামান

আর্কাইভ