
প্রকাশিত: মে ৩, ২০২৫, ১০:৫৯ পিএম
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নওশাদ জমির বলেছেন সংস্কারের কথা প্রথম বলেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। রাস্ট্র মেরামতের যে কথাগুলো সেগুলো ২০১৪ সালে বেগম জিয়া বলেছেন। ২০১৮ সালে আমাদের নির্বাচনী ইস্তেহারে ছিলো। আজকে যারা সংস্কারের কথা বলছেন বিএনপির ৩১ দফার মধ্যে নাই এরকম সংস্কার আপনারা কেউ করতে পারেননি।
বিএনপি ক্ষমতায় আসলে রাস্ট্র সংস্কার আটকে থাকবেনা । আরও সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। বিএনপির অগ্রযাত্রাকে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে একটা ফ্যাসিস্ট দল বার বার পিছিয়ে দিয়েছে। ভবিষ্যতের বাংলাদেশ ফ্যাসিস্টদের আর কোন যায়গা দেবেনা। এটাই আমাদের প্রত্যয়। দীর্ঘ দেড় যুগ পর সদর উপজেলা বিএনপির সম্মেলন উপলক্ষ্যে শনিবার দুপুরে সরকারি অডিটোরিয়াম চত্বরের মুক্তমঞ্চে প্রথম অধিবেশনের আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। আমরা নির্বাচনের কথা বললেই আমাদের দোষ দেয়। অথচ একটি চুড়ান্ত বিপ্লবের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান ক্ষমতা নেয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে একটি নির্বাচন ঘোষণা করেন যাতে সাধারন মানুষ তাদের মতামত জানাতে পারে। বিএনপি শুরু থেকেই নির্বাচনমুখী দল। গণতন্ত্রের দল।
১৯৭৫ সালে অভ্যুত্থান না হলে ১ থেকে দেড় বছরের মধ্যেই দেশের জনগণ মাঠে নেমে তৎকালীন সরকারকে দেশ ছাড়া করতো। ২০২৪ সালে একই ঘটনা ঘটেছে। সারা পৃথিবীতে সকল বিপ্লবকে সাধারন জনতা সাফল্যমন্ডিত করেছে। ২০২৪ এর বিপ্লবও কারও একার নয়। আমরা ২০২৪ শের বিপ্লবে শহীদ আর আহতদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধিনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের দু:সাহসিক যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধিন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। তারপরেই বাংলাদেশ একটি ক্রান্তিকাল অথিক্রম করে। তারপরেই ১৯৭৫ সাল একটি ঐতিহাসিক সাল। কারণ ৭ নভেম্বরে সীপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে বন্দি অবস্থা থেকে জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করে রাস্ট্রিয় ব্যবস্থা পরিবর্তনের সুযোগ করে দেয়। এবং সেই রাস্ট্রিয় ব্যবস্থা পরিবর্তনের ফলে এই যে স্বৈরাচার ভিত্তিক একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম হয়েছিলো সেটার পরিবর্তে ১৯৭৯ সালে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের মানুষ আরেকটা গনতান্ত্রিক রাস্ট্রের দিকে যাত্রা শুরু করি। ৫ আগষ্টের আগে আমাদের নেতাকর্মীরা বাড়িতে ঘুমাতে পারতোনা। খেতে ঘুমাতো হতো । কিন্তু ৫ আগষ্টের পর এমন কি হলো যে ১৭’শ নেতাকর্মীকে বহিস্কার করতে হলো। রাতে অন্য বাড়িতে থাকতে হতো। আত্নীয় স্বজনরাও যায়গা দিতোনা। ২০০৮ সাল থেকে ফ্যাসিস্ট প্রতিহত করে আসছে যে দল সেই দলের কর্মীদের এমন অবস্থা হলো কেন । কাজেই আমাদেরকে সংযত হতে হবে।
আমাদের আচরন হতে এমন যাতে আমাদেরকে দেখে মানুষ শিক্ষা নিতে পারে। বিভিন্ন প্রপাগান্ডা আছে এটা সত্যি। কিন্তু আমাদের আচরনকে সংযত রাখতে হবে। তারেক জিয়াকে কেন বাংলাদেশের বাইরে পাঠানো কেন এতো উদ্যোগ ছিলো। কারণ তিনি বাংলাদেশের স্বার্থের বাইরে কিছু হতে দেবেন না । এসময় তিনি তারেক রহমানের রাজনীতি বিষয়ে প্রকাশিত বই তারেক রহমান পলিসিস এন্ড পলিটিক্স : কনটেম্পোরারী বাংলাদেশ এর উদ্বৃতি দিয়ে বলেন বাংলাদেশে গাড়ির কারখানা করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিলো। এবং বাংলাদেশের গ্যাস তাদেরকে দিতে হবে। তারেক জিয়া এই চুক্তির বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি বলেন ডিজিটাল বাংলাদেশের নামে আমরা ফেসবুক বাংলাদেশ দেখেছি। আজ আপনারা সংস্কারের কথা বলছেন তারেক জিয়া ২০২৩ সাল থেকে সংস্কারের কথা বলছেন । সংস্কারের কথা প্রথম বলেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। রাস্ট্র মেরামতের যে কথাগুলো সেগুলো ২০১৪ সালে বেগম জিয়া বলেছেন। ২০১৮ সালে আমাদের নির্বাচনী ইস্তেহারে ছিলো। আজকে যারা সংস্কারের কথা বলছেন বিএনপির ৩১ দফার মধ্যে নাই এরকম সংস্কার আপনারা কেউ করতে পারেননি। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে রাস্ট্র সংস্কার আটকে থাকবেনা।
আরও সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। বিএনপির অগ্রযাত্রাকে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে একটা ফ্যাসিস্ট দল বার বার পিছিয়ে দিয়েছে। ভবিষ্যতের বাংলাদেশ ফ্যাসিস্টদের আর কোন যায়গা দেবেনা। এটাই আমাদের প্রত্যয়। দীর্ঘ দেড় যুগ পর সদর উপজেলা বিএনপির সম্মেলন উপলক্ষ্যে প্রথম অধিবেশনের আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় কেন্দ্রীয় কিমিটির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ, রংপুর বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, আমিনুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এ্যাড. রিনা পারভীন, পঞ্চগড় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু সহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।