প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২২, ১০:৪৩ এএম
রাজশাহী মহানগরীর মহিষবাথান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফাতেমা খাতুনের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়েছেন
তার স্বামী সাদিকুল ইসলাম। এতে ওই শিক্ষিকার
মুখ ও বুক পুড়ে
গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন
ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতের
ছোট বোন নূরজাহান খাতুন
জানান, বুধবার (৫ জানুয়ারি) দিবাগত
রাত ১টার দিকে কিছু
বোঝার আগেই গায়ে কেরোসিন
ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে
পালিয়ে যান সাদিকুল ইসলাম।
খবর পেয়ে তারা তাকে
হাসপাতালে ভর্তি
করান। আগুনে তার
মুখ, বুক ও দুই
হাত পুড়ে গেছে।
তিনি
আরও জানান, বিয়ের পর থেকেই ২০ বছর ধরে ফাতেমাকে
নির্যাতন করে আসছিলেন স্বামী
সাদিকুল। পারিবারিক ও সামাজিক সম্মানের
কারণে বিষয়টি এতদিন ধামাচাপা দেয়া
হচ্ছিল। দুই সন্তানের কথা
ভেবে নির্যাতন সয়েই সংসার করছিলেন
তিনি।
সাদিকুল
ইসলামের বাড়ি নগরীর বুলনপুর
ঘোষপাড়া এলাকায়। তার পিতা ৪ নম্বর
ওয়ার্ডের সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাজ্জাদ হোসেন।
রাজশাহী
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন
ইউনিটের প্রধান অধ্যাপক আফরোজ নাজনীন জানিয়েছেন, ফাতেমার শরীরের ওপরের অংশ পুড়ে গেছে।
তার অবস্থা গুরুতর।
নগরীর
রাজপাড়া থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম
জানান, এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি।
নূর/এম. জামান