প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২০, ২০২৫, ০৪:২৬ পিএম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরীফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে শোক র্যালি করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে কয়েকশ শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীর অংশগ্রহণে এ শোক র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘোষিত একদিনের শোক পালনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। র্যালি শেষে শহীদ ওসমান হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া-মোনাজাত করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শাহীনুজ্জামান, জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, ইউট্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেনসহ অন্যান্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী বলেন, ‘ওসমান হাদি শুধু ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরোধী ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন বিপ্লবী। এর আগের শুক্রবার তিনি গুলিবিদ্ধ হন। যে চেতনা তিনি ধারণ করতেন, সেই চেতনা যেন আমাদের মধ্যে জাগ্রত থাকে। আমাদের মধ্যে বিপ্লবী চেতনা ও ফ্যাসিবাদবিরোধী মনোভাব রয়েছে; আমরা ভারতীয় আধিপত্যবাদকে “না” বলি। জাতিকে শোকসাগরে নিমজ্জিত করে ওসমান হাদি আল্লাহর কাছে চলে গেছেন। আল্লাহ যেন তাঁর শাহাদাত কবুল করেন।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘আজ শোকের দিন। আমরা সবাই শোকে মুহ্যমান। ওসমান হাদি ছিলেন অন্যায় ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে একজন অনলবর্ষী বক্তা। তাঁকে হারিয়ে বাংলাদেশ একটি অমূল্য সম্পদ হারিয়েছে। সন্ত্রাসীরা গুলি করার পর সারা বাংলাদেশ যেভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে, তাতে প্রমাণ হয়—শহীদ হাদি লক্ষ হাদিকে জীবিত রেখে গেছেন। আমরা অচিরেই শহীদ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি। আল্লাহ যেন তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের গুনাহ মাফ করে দিয়ে শাহাদাত কবুল করেন।’