• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ১৬ মে, ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

নামাজ পড়ে এসে ইজিবাইক না পেয়ে কাঁদছেন বিল্লাল

প্রকাশিত: মার্চ ২৯, ২০২৩, ০১:৩০ এএম

নামাজ পড়ে এসে ইজিবাইক না পেয়ে কাঁদছেন বিল্লাল

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

অন্যের ইজিবাইক ভাড়ায় চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন বিল্লাল হোসেন (২৯)। তার একার উপার্জনে কোনোরকমে চলে চার সদস্যের পরিবার। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা শহরে জান্নাতুল মওলা জামে মসজিদের সামনে ইজিবাইকটি রেখে জোহরের নামাজ আদায় করতে যান। নামাজ শেষে এসে দেখেন নির্ধারিত স্থানে ইজিবাইকটি নেই। চারদিকে খোঁজাখুঁজির পরও ইজিবাইকটি না পেয়ে নির্বাক হয়ে পড়েন বিল্লাল হোসেন।

বিল্লাহ হোসেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরন্দ্র ইউনিয়নের পুরাতন ভান্ডারদোহা গ্রামের হাসপাতালপাড়ার ইউসুফ আলীর ছেলে। তার দুই ছেলে-মেয়ে রয়েছে।

বিল্লাল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, চুয়াডাঙ্গা শহরের একাডেমি মোড়ে একজন যাত্রীকে নামিয়ে জান্নাতুল মওলা জামে মসজিদের সামনে ইজিবাইকটি রেখে জোহরের নামাজ আদায় করি। নামাজ শেষে এসে দেখি ইজিবাইকটি নেই। ইজিবাইকটি হারিয়ে এখন আমি দিশেহারা হয়ে পড়েছি। ইজিবাইকের মালিককে মুঠোফোনে বিষয়টি জানালে তিনি বলেন, ‘আমি কিছু জানি না’।

তিনি আরও বলেন, অন্যের ইজিবাইক ভাড়ায় চালিয়ে যা উপার্জন হতো তা দিয়ে কোনোরকমে সংসার চলতো। রোজা রেখে ইজিবাইকটি খুঁজতে চারদিকে ছোটাছুটি করে কথা বলতে পারছি না। আপনারা একটা কিছু করে দেন বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন বিল্লাল হোসেন।

মসজিদের পাশের মুদি ব্যবসায়ী রুস্তম আলী (বুদো) ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিল্লাল হোসেন মসজিদের সামনে ইজিবাইক রেখে নামাজ আদায় করতে যান। এ সময় ইজিবাইকটি চুরি হয়ে যায়। ইজিবাইকটি না পেয়ে তিনি কান্নাকাটি করেছেন। আমরাও অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাইনি। পরে বিল্লাল হোসেন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিলে সেখান থেকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেন বিল্লাল হোসেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনার নিকট থেকেই শুনলাম। বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি।

আর্কাইভ