• ঢাকা মঙ্গলবার
    ১৪ মে, ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১

চবিতে নিয়ন্ত্রণহীন ছাত্রলীগ, উপ-উপাচার্যের হুঁশিয়ারি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩, ০৫:৪১ পিএম

চবিতে নিয়ন্ত্রণহীন ছাত্রলীগ, উপ-উপাচার্যের হুঁশিয়ারি

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণ নেই যেন কারও হাতেই। গত পাঁচ দিনে ১০ বারের বেশি সংঘর্ষে লিপ্ত হয় তারা; যা পাঁচ বছরে দাঁড়ায় দেড় শতাধিক। ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করায় যোগ্য নেতৃত্বের হাতে সংগঠনটি নতুন নেতৃত্ব তুলে দেয়ার দাবি নেতাকর্মীদের।

তবে বিশ্ববিদ্যালয় যারা অস্থিতিশীল করা চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন উপ-উপাচার্য বেনু কুমার দে।

তিনি জানান, আট বছরের বেশি হয়ে যাওয়া শিক্ষার্থী ও অবৈধভাবে থাকা অছাত্রদের বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ত্যাগ করতে হবে, অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ন্ত্রণহীন ছাত্রলীগকে কোনোভাবেই শৃঙ্খলায় আনা যাচ্ছে না। প্রতিদিনই কোনো না কোনো অজুহাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছোটখাটো অপ্রীতিকর কিংবা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়াচ্ছে নানা গ্রুপ এবং উপগ্রুপে বিভক্ত সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। কখনও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে গিয়ে আন্দোলন, কখনও নিজেদের কমিটির জন্য ক্যাম্পাস অবরুদ্ধ, কখনও আবার নিজেদের গ্রুপ-উপগ্রুপের কোন্দলে সংঘাত নিয়েই চলছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।

মেয়াদ উত্তীর্ণ, সাংগঠনিক নিষ্ক্রিয়তা, শৃঙ্খলাবিরোধী ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার কারণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংগঠনিক গতিশীলতা বাড়াতে ও ছাত্রলীগের হারিয়ে যাওয়া গৌরব ফিরিয়ে আনতে নতুন নেতৃত্ব দ্রুত দেয়ার দাবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি মির্জা খবির সাদাফ জানান, নানা কারণে খবরের খারাপ শিরোনাম হত ছাত্রলীগ নিয়ে। দীর্ঘদিন ধরে কমিটি পরিবর্তন না হওয়ার কারণে ওই অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তাই দ্রুতই নতুন ও যোগ্য নেতৃত্ব দেয়ার দাবি করেছেন ছাত্রলীগের ওই নেতা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট ড. সজীব কুমার ঘোষ জানান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো দীর্ঘদিন ধরেই অছাত্রদের দখলে রয়েছে। ছাত্রত্ব নেই এমন অনেকেই হলের কক্ষ দখল করে রয়েছেন। এই কারণে আট বছর পেরিয়ে যাওয়া অছাত্র ও বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের হল ছেড়ে দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কোনো অছাত্রকে পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেন হল প্রভোস্টরা।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৮ হাজার। এর মধ্যে ছেলে ও মেয়েদের ১২টি হলে থাকার সুযোগ পান সাড়ে পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী। নতুন কয়েকটি হল উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে।

 

সিটি নিউজ ঢাকার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

 

জেকেএস/

আর্কাইভ