• ঢাকা শুক্রবার
    ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

আফগানিস্তান নিয়ে যে সিদ্ধান্ত জানাল ওআইসি

প্রকাশিত: আগস্ট ২৩, ২০২১, ১০:৩৩ এএম

আফগানিস্তান নিয়ে যে সিদ্ধান্ত জানাল ওআইসি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আফগানিস্তান ইস্যুতে জরুরি বৈঠক করেছে মুসলিম বিশ্বের ৫৭ দেশের শীর্ষ সংগঠন অরগানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)। বৈঠকে আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়তার অঙ্গীকার করেছে সংগঠনটি।

‘ভবিষ্যৎ আফগান নেতৃত্ব’ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। যাতে আফগানিস্তান আর কখনো সন্ত্রাসবাদের প্ল্যাটফর্ম অথবা নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত না হয়।

আফগানিস্তানের জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে ওআইসি আহ্বান করেছে যে, সব পক্ষকে সহিংসতা ত্যাগ করতে হবে। আর অতি দ্রুত সমগ্র আফগানিস্তানে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে।



সৌদিভিত্তিক সংগঠনটি বলেছে, আফগানিস্তানে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও জাতীয় ঐক্যের প্রতি জোর দিতে আগামী মাসে তারা কাবুলে দূত পাঠাবে।

সংগঠনটি আরও বলছে, আফগানিস্তানের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা খুবই প্রয়োজন। কিন্তু কেউ যেন আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোতে হস্তক্ষেপ না করে।

এদিকে বৈঠকে দেশটিতে দ্রুত স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা, জনসাধারণের নিরাপত্তা এবং আটকে পড়া বিদেশিদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তনের আহ্বান জানিয়েছে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি আফগানিস্তানের ভূমি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। ওআইসির সদস্য দেশগুলো এ বিষয়ে একমত থাকবে বলে আশা করি।’

গত মে মাস থেকে আফগানিস্তান দখলে অভিযান শুরু করে তালেবান। মাত্র তিন মাসের মধ্যে দেশের ৩৪টি প্রদেশের মধ্যে ২৮টি নিজেদের দখলে আনতে সক্ষম হয়। এর মধ্যে গত ১৫ আগস্ট থেকে রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণও নেয় তারা।

গত তিন মাস ধরে আফগানিস্তানের প্রদেশগুলোতে যুদ্ধ-সংঘাত চলার ফলে বাড়িঘর সহায়-সম্বল হারিয়েছেন অসংখ্য আফগান। তাদের একটি ছোট অংশ দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী দেশ ইরানে আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু এখনো রাজধানী কাবুলসহ আফগানিস্তানের বড় শহরগুলোতে লাখ লাখ আফগান শরণার্থী দিন-রাত কাটাচ্ছেন খোলা আকাশের নিচে।

টিআর/এএমকে
আর্কাইভ