• ঢাকা শুক্রবার
    ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

হামলা সত্ত্বেও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা বাইডেনের

প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০২১, ০৫:৩৬ পিএম

হামলা সত্ত্বেও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা বাইডেনের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আফগানিস্তানে জিহাদী হামলা সত্ত্বেও কাবুল থেকে মার্কিন বিমানে করে লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

কাবুল বিমানবন্দরে আত্মঘাতি হামলায় ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে মার্কিন সেনার সংখ্যা ১৩। বাইডেন বলেন, ‘আমাদেরকে এই অভিযান সম্পন্ন করতেই হবে এবং আমরা তা করবো। বাইডেন একই সঙ্গে হামলাকারীদের চিহ্নিত করারও অঙ্গীকার করেন।

গত ১৫ই অগাস্ট কাবুল তালেবানের দখলে চলে যাওয়ার পর সেখান থেকে এখন পর্যন্ত এক লাখেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র তাদের সেনাদের ৩১শে অগাস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহারের সময়সীমা ঠিক করেছে, তবে অনেক আফগান ওই সময়ের মধ্যেই দেশ ছাড়তে বিমানবন্দরে ছুটে আসছেন। বাইডেন এই অভিযান সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, ‘আমরা সন্ত্রাসীদের কারণে পিছ পা হব না"

বৃহস্পতিবার প্রথম হামলাটি হয় অ্যাবি গেইটকে লক্ষ্য করে। এখানে মার্কিন এবং ব্রিটিশ বাহিনী স্থানীয় লোকজনদের বিমানবন্দরে প্রবেশের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছিলেন। পরে সেখানে গোলাগুলি শুরু হয়। কয়েক মিনিট পরে একটি হোটেলে দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে, যেখানে ব্রিটিশ কর্মকর্তারা ব্রিটেনে ভ্রমণ প্রত্যাশী আফগানদের বিভিন্ন দাফতরিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছিলেন।

আইএস-কে, অর্থাৎ ইসলামিক স্টেটের আঞ্চলিক একটি শাখা (যারা ইসলামিক স্টেট অফ খোরাসান প্রভিন্স নামেও পরিচিত) এমন আত্মঘাতী হামলা চালাতে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তারা এর আগে সতর্ক করেছিলেন। এই সতর্কতা সত্ত্বেও কোনো একটি ফ্লাইটে আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার ব্যাপারে অনুমোদন পাওয়ার আশায় ওই এলাকায় জড়ো হয়েছিলেন অসংখ্য মানুষ। এই জিহাদী গোষ্ঠীটিই পরবর্তীতে বোমা হামলার দায় স্বীকার করে।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন : ‘আমরা ক্ষমা করব না। আমরা ভুলবো না। আমরা তোমাদের খুঁজে বের করবো এবং এজন্য তোমাদের চরম মূল্য দিতে হবে।

মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ডের প্রধান জেনারেল ফ্র্যাঙ্ক ম্যাকেঞ্জি জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ১১ জন মেরিন সেনা এবং একজন নৌবাহিনীর চিকিৎসক ছিলেন।

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির পর আফগানিস্তানে এই প্রথম মার্কিন সেনা হতাহতের ঘটনা ঘটলো। জেনারেল ম্যাকেঞ্জি বলেন, এখনও আইএস কাছ থেকে বড় ধরণের হামলার হুমকি রয়েছে। ধরনের হামলা বন্ধে তালেবানদের সঙ্গে মার্কিন বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে এবং তালেবান ইতোমধ্যেই অনেক হামলায় বাধা দিয়েছে। কিন্তু ওই হামলার কারণে ৩১শে অগাস্ট সময়সীমার মধ্যে মার্কিনিদের প্রত্যাহারের অভিযান বেশ জটিল হয়ে পড়েছে।

বর্তমানে কাবুল বিমানবন্দরের মাটিতে ,৮০০ মার্কিন সৈন্য এবং আরও ,০০০ ব্রিটিশ সৈন্য রয়েছেন। এখন পর্যন্ত আফগানিস্তান থেকে এক লাখ চার হাজার বেসামরিক নাগরিককে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তার মধ্যে ৬৬,০০০ জনকে যুক্তরাষ্ট্রে এবং ৩৭,০০০ জনকে বিভিন্ন মিত্র এবং অংশীদার দেশে পাঠানো হয়েছে। প্রায় ,০০০ মানুষ বিমানবন্দরে এখনও অপেক্ষা করছেন এবং আরও অনেকে তল্লাশি চৌকি পার হওয়ার চেষ্টা করছেন।

শামীম/নির্জন

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ