প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২১, ০৩:৫৮ পিএম
মাদককাণ্ডে আরিয়ান খান এবং আরবাজ শেঠ মার্চান্টের সঙ্গে এনসিবি হেফাজতে দিন
কাটছে মডেল মুনমুন ধমেচার। স্যানিটারি ন্যাপকিনে মাদক লুকিয়েছিলেন তিনি-
নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) এমন দাবি করেছে। কিন্তু প্রমোদতরির পার্টিতে
কীভাবে পৌঁছলেন তিনি? মুনমুনের আইনজীবী আলি কাসিব খান সাক্ষাৎকারে এ
বিষয়ে কথা বলেছেন।
আলির দাবি, মুনমুন গোয়াগামী প্রমোদতরিতে যাওয়ার জন্য
প্রস্তুত ছিলেন না। সেখানে যাওয়ার জন্য তার টিকিটও ছিল না। তদন্তে জানা গেছে, বলরাম নামে এক ব্যক্তি মুনমুনের টিকিট কেটেছিলেন। তার নামে ঘরও ভাড়া
নিয়েছিলেন। আইনজীবীর কথায়, ‘মুনমুন পেশায় মডেল। পার্টি নজরকাড়া করে তুলতেই
তাকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বিনিময়ে তাকে পারিশ্রমিক দেওয়া হবে বলা হয়েছিল।’
৩৯ বছর বয়সী মুনমুনের আদি বাড়ি মধ্য প্রদেশের সাগর নামে এক ছোট শহরে। ব্যবসায়ী
পরিবারের মেয়ে। মুনমুনের মা নেই। গত বছর মারা গেছেন। বাবা আলাদা থাকেন। দিল্লিতে
ভাইয়েরর সঙ্গেই থাকেন মুনমুন। মুম্বাইয়ের একাধিক বড় বড় তারকার সঙ্গে ওঠাবসা রয়েছে
এই মডেলকন্যার। কিন্তু আইনজীবীর দাবি, কাজের ডাক পেলে
তবেই তিনি মুম্বাইয়ে যেতেন। পার্টিতে যাওয়ার আগে আরিয়ান বা আরবাজ কারও সঙ্গেই আলাপ
ছিল না মুনমুনের।
আলি খানের প্রশ্ন- মাদক পাওয়ার সময়ে মুনমুনের সঙ্গেই ছিলেন আরও দুজন। তা হলে
এনসিবি শুধু মুনমুনকেই ধরল কেন?
আলি খান বললেন, ‘বড় পার্টিতে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে মুনমুন খুব
খুশি ছিলেন। সেখানে পৌঁছে ভাইকে ভিডিও কল করে সে কথা জানিয়েও ছিলেন মুনমুন।
পরিবারের কাছ থেকে লুকিয়ে কিছু করেননি তিনি।’
মুনমুনের সঙ্গে কথা বলে আলি যা যা ‘তথ্য’ জানতে পেরেছেন সেগুলো সাক্ষাৎকারে
বললেন। প্রমোদতরির বাইরে লেখা ছিল,
‘মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধ’।
মুনমুন যখন প্রমোদতরিতে উঠছিলেন,
তাদের তল্লাশি হয়েছে।
তখন কিছু পাওয়া যায়নি তার কাছে। কিন্তু বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ বলরাম এবং আরও একটি
মেয়ের সঙ্গে নিজের নামে ভাড়া নেওয়া ঘরে ঢোকেন মুনমুন। দু’তিন মিনিটের মধ্যেই
এনসিবি সেখানে ঢুকে পড়ে। মুনমুন তার আইনজীবীকে জানিয়েছেন, ঘরের মেঝেতে মাদকের প্যাকেট পাওয়া গিয়েছিল।
আলি খানের প্রশ্ন, মুনমুনের ঘরে মাদক পাওয়ার সময়ে তার সঙ্গেই
ছিলেন বলরাম ও অন্য তরুণী। তা হলে এনসিবি শুধু মুনমুনকেই ধরল কেন? ঘরে পড়ে থাকা মাদকের প্যাকেট তো তাদেরও হতে পারে। কিন্তু শুধু মুনমুনকে জেরা
করার জন্য আটক করা হয়। ‘মুনমুন আমাকে কাঁদতে কাঁদতে জিজ্ঞাসা করেন, ‘কেবল আমি-ই কেন?’ বললেন আইনজীবী।
শামীম/ডাকুয়া