• ঢাকা মঙ্গলবার
    ০৫ আগস্ট, ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২

নাইজেরিয়ায় সশস্ত্র ডাকাতদের হামলায় নিহত ১৮

প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০২১, ১২:১৭ পিএম

নাইজেরিয়ায় সশস্ত্র ডাকাতদের হামলায় নিহত ১৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

নাইজেরিয়ায় সশস্ত্র ডাকাতদের হামলায় কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছেন। দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জামফারা প্রদেশে এই ঘটনা ঘটে। হত্যাকাণ্ডের পর ডাকাতেরা ওই এলাকায় তাণ্ডব চালিয়েছে। দোকান ও গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে রয়টার্স এই তথ্য জানিয়েছে।

জামফারা প্রদেশের দুই বাসিন্দার বরাত দিয়ে রয়টার্স বলছে, নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ওই এলাকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী, ডাকাত ও অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা অভিযান পরিচালনা করছে দেশটির সরকার। অভিযানের অংশ হিসেবে এলাকাটিতে টেলিযোগাযোগ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রেখেছে সরকার। তবে সরকারি বাহিনীর এই অভিযানের মধ্যেই সেখানে ডাকাতদের হামলা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটল।

ওই দুই বাসিন্দা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে জামফারা প্রদেশের কুরিয়ান মাদারো গ্রামে মোটরবাইকে করে বহুসংখ্যক ডাকাত প্রবেশ করে। এরপরই গ্রামবাসীদের ওপর হামলা করে তারা।

কুরিয়ান মাদারো গ্রামের বাসিন্দা আবু বকর ইয়াকুব রয়টার্সকে জানান, গ্রামে প্রবেশের পর সশস্ত্র ওই ডাকাত দল গ্রামবাসীদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে। কার্যত তারা গ্রামবাসীদেরকে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে। তবে এর আগেই ডাকাতদের গুলিতে অনেকে নিহত হন।

এদিকে পার্শ্ববর্তী কেব্বি প্রদেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষক আবু বকর আবদুল্লাহ আল হাসান এই হামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জামফারা প্রদেশে তার কিছু আত্মীয় বসবাস করেন। তিনি জানান, হামলার কারণে প্রাণহানির ঘটনা ছাড়াও কম-বেশি অনেকেই আহত হয়েছেন।

অবশ্য ঘটনার বিষয়ে মন্তব্য জানতে বারবার চেষ্টা করেও জামফারা প্রদেশের পুলিশের মুখপাত্র মোহাম্মদ শেফুর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি রয়টার্স।

পশ্চিম আফ্রিকার অন্যতম বৃহৎ দেশ নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ডাকাতি, হত্যা, লুটপাট, স্কুলের শিক্ষার্থীদের বন্দি ও জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়ের মতো অপরাধ প্রায় নিয়মিত ঘটনা হয়ে উঠেছে। এসব অপরাধ বন্ধে নাইজেরিয়ার কেন্দ্রীয় সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ পদেক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।

নাইজেরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদের মতে, সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি জঙ্গিগোষ্ঠী বোকো হারাম ও আইএস (ইসলামিক স্টেট) পশ্চিম আফ্রিকা শাখার সদস্যরাও নিয়মিত এসব অপরাধমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ১২ বছর ধরে নাইজেরিয়াভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী বোকো হারাম ও আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।

 

শামীম/এএমকে

আর্কাইভ