আন্তর্জাতিক ডেস্ক
                                  
              যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারকৃত আইএস জঙ্গিদের ইউক্রেনে যুদ্ধক্ষেত্র পাঠানোর অভিযোগ করেছে রাশিয়া। 
রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত রুশ ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশের বংশোদ্ভূত কয়েক ডজন আইএস জঙ্গিকে ইউক্রেনে হস্তান্তর করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের আল তানফ ঘাঁটিতে এনে দোনবাস এলাকা বিবেচনায় তাদের যুদ্ধ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। 
রাশিয়ার বৈদেশিক গোয়েন্দা বিভাগ বলছে, সিরিয়া থেকে আইএস সন্ত্রাসীদের ইউক্রেনে স্থানান্তর করছে যুক্তরাষ্ট্র।
প্রেসটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার এক বিবৃতিতে রুশ গোয়েন্দা সংস্থা বলেছে, ইউক্রেনে পাঠানো আইএস যোদ্ধাদের সিরিয়ার আল তানফে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ঘাঁটিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০২১ সালের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্র কয়েক ডজন আইএস যোদ্ধাকে মুক্তি দেয়। এর মধ্যে রুশ ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশের নাগরিক রয়েছে। মুক্তির পর তাদের আল তানফ ঘাঁটিতে নিয়ে আসা হয়। যেখানে তারা ইউক্রেনের দোনবাস এলাকা বিবেচনায় রেখে যুদ্ধ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে।
রুশ গোয়েন্দা বিভাগ বলছে, সিরিয়া থেকে নিয়ে আসা অধিকাংশ আইএস যোদ্ধা এরই মধ্যে রুশ হামলায় প্রাণ হারিয়েছে।
রুশ গোয়েন্দারা এও দাবি করছে, প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ড হয়ে ইউক্রেনে আইএস যোদ্ধাদের নিয়ে আসার জন্য মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকায় আইএসের নতুন ইউনিট গঠন করতে কাজ করে যাচ্ছে ওয়াশিংটন।
এ ছাড়া রুশ গোয়েন্দা দপ্তরের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক গোয়েন্দারা ইউক্রেনে ভাড়াটে সেনা পাঠানোর জন্য প্রচারণা জোরদার করেছে। শুধু গত সপ্তাহেই ক্রোয়েশিয়া থেকে ২০০ ভাড়াটে সেনা পোল্যান্ড হয়ে ইউক্রেনে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করেছে। পেন্টাগনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আইএস সন্ত্রাসীদের হাত থেকে এই অঞ্চলের তেলক্ষেত্রগুলো রক্ষা করাই তাদের সেনা মোতায়েনের উদ্দেশ্য। বাশার আল আসাদ নেতৃত্বাধীন সিরীয় সরকার বলছে, সম্পদ লুট করার উদ্দেশ্যেই যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ায় সেনা মোতায়েন করে রেখেছে।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া।
এতে ইউক্রেনের প্রায় সাড়ে ৩০০ বেসামরিক নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। দেশ ছেড়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে ১২ লাখ ইউক্রেনীয়।
প্রথম ৯ দিনের হামলায় রাশিয়ার ৯ হাজার ১৬৬ সেনা নিহতের দাবি করেছে ইউক্রেন। রাশিয়ার ৯৩৯টি সাঁজোয়া যান, ১০৫টি আর্টিলারি সিস্টেম, ৫০টি এমএলআরএস, ১৮টি বিমান বিধ্বংসী ওয়ারফেয়ার সিস্টেম, ৩৩টি বিমান, ৩৭টি হেলিকপ্টার ধ্বংস করা হয়েছে।
এর বাইরে রাশিয়ার ৪০৪টি যানবাহন বা মোটরযান, দুটি লাইট স্পিডবোট, ৬০টি জ্বালানি ট্যাঙ্ক, তিনটি ড্রোন ধ্বংসের দাবি করেছে ইউক্রেন।
এদিকে, রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর খেরসনের দখল নিয়েছে রুশ সেনারা। দেশটিতে থাকা ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রও এখন রুশ সেনাদের দখলে। সূত্র: প্রেসটিভি 
এইচএ /এফএ
									
                                  
                                
                  
                    
                  
                    
                      ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন