• ঢাকা সোমবার
    ২০ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

ইউক্রেনকে সোভিয়েত নকশায় তৈরি পাঁচটি মিগ–২৯ যুদ্ধবিমান দিচ্ছে জার্মান

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৪, ২০২৩, ০৩:৫৬ পিএম

ইউক্রেনকে সোভিয়েত নকশায় তৈরি পাঁচটি মিগ–২৯ যুদ্ধবিমান দিচ্ছে জার্মান

জার্মানির অনুমোদন, মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান পাচ্ছে ইউক্রেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

পোল্যান্ডের অনুরোধে ইউক্রেনকে সোভিয়েত নকশায় তৈরি পাঁচটি মিগ–২৯ যুদ্ধবিমান দেয়ার আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দিয়েছে জার্মান সরকার। বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আল জাজিরার।

জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা কেন্দ্রীয় ( ফেডারেল) সরকারের সবাই যৌথভাবে এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি। আমি বিষয়টিকে স্বাগত জানাই।’

এর আগে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর আগ্রাসন মোকাবিলায় কিয়েভকে মিগ–২৯ যুদ্ধবিমান দিতে অনুরোধ করেছিল ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ড।

পোল্যান্ডের বহরে যেসব যুদ্ধবিমান আছে সেগুলো তৃতীয় কোনো দেশে পাঠাতে জার্মান সরকারের অনুমতির প্রয়োজন হয়। এ কারণে ইউক্রেনে যুদ্ধবিমান পাঠাতে জার্মানিকে অনুরোধ করে দেশটি।

পিস্টোরিয়াস বলেন, বৃহস্পতিবার পোল্যান্ড থেকে এ অনুরোধ আসে, একই দিনে অনুমোদন প্রমাণ করে যে ‘আপনি জার্মানির ওপর নির্ভর করতে পারেন’।

১৯৯০ সালে দুই জার্মানি এক হলে ‘উত্তরাধিকার’ সূত্রে তৎকালীন পূর্ব জার্মানির কাছ থেকে ২৪টি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান পায় জার্মানি। সে সময় মিগ-২৯ বিশ্বের সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমান হিসেবে পরিচিত ছিল।

২০০৪ সালে জার্মান সরকার ২২টি মিগ–২৯ যুদ্ধবিমান প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ডকে দেয়। আর বাকি দুটির মধ্যে একটি বিধ্বস্ত হয়েছিল। আর যে একটি মিগ-২৯ সেটি এখন জার্মানির জাদুঘরে রাখা আছে।

এদিকে পেন্টাগনের ফাঁস হওয়া নথির বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে, চলতি বছর রাশিয়া বা ইউক্রেন কোনো দেশই যুদ্ধক্ষেত্রে খুব বেশি অগ্রগতি লাভ করতে পারবে না। যুদ্ধ গড়াবে ২০২৪ সালে। এ অচলাবস্থা কাটাতে ইউক্রেন দেশটির রিজার্ভ এবং নিয়মিত সেনাবাহিনীর শেষ সদস্যটিকেও মাঠে নামাবে।

স্থানীয় সময় বুধবার (১২ এপ্রিল) ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মস্কো এবং কিয়েভ উভয়ই সেনা এবং রসদে ঘাটতি থাকায় চলতি বছর যুদ্ধে কার্যকর খুব বেশি অগ্রগতি লাভ করবে না; বরং যুদ্ধ গড়াবে ২০২৪ সালে। এ বছর উভয় পক্ষই সামান্য আঞ্চলিক অগ্রগতি লাভ করবে।

পেন্টাগনের ফাঁস হওয়া নথিতে বলা হয়েছে, আলোচনার মাধ্যমে চলতি বছর যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে যুদ্ধ বন্ধ হোক বা চলুক, তাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে ইউক্রেনেরই।

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ