• ঢাকা রবিবার
    ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

নিহতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়াতে পারে: মমতা

প্রকাশিত: জুন ৩, ২০২৩, ১১:৩১ পিএম

নিহতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়াতে পারে: মমতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভারতের ওড়িশায় ট্রেন দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৮৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন অন্তত এক হাজার মানুষ। শনিবার (৩ জুন) দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

একই সময় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পাটনায়েকও ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। এ সময় তারা এ দুর্ঘটনাকে ভারতের সবচেয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনাগুলোর একটি বলে উল্লেখ করেন।

দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ও রেলমন্ত্রীর মধ্যে সামান্য মতানৈক্য দেখা দেয়।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দুর্ঘটনার পেছনে কিছু ত্রুটি ছিল। এটি সঠিকভাবে তদন্ত করা উচিত। এ দুর্ঘটনায় অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আমি শুনেছি যে মৃতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে। উদ্ধার অভিযান এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি।’

মমতার কথার জবাবে অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, উদ্ধার অভিযান শেষ হয়েছে এবং মৃতের সংখ্যা ২৩৮-এ দাঁড়িয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও দুর্ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। পরিদর্শন শেষে তিনি হাসপাতালে যান। সেখানে তিনি আহতদের খোঁজখবর নেন। এরপর দুর্ঘটনার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডেকেছেন মোদি।

এর আগে হতাহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দেন নরেন্দ্র মোদি।


শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে ওড়িশার বালেশ্বর জেলার বাহাঙ্গা বাজার এলাকায় ঘটে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা। কলকাতার শালিমার থেকে চেন্নাইগামী সেন্ট্রাল করমণ্ডল এক্সপ্রেস, বেঙ্গালুরু থেকে হাওড়াগামী সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস এবং একটি মালবাহী ট্রেন দুর্ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।

কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল সে সম্পর্কে স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি এখনও। এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, সিগন্যালে অপেক্ষমাণ মালগাড়ির সঙ্গে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছিল এবং সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস আগেই ওই এলাকায় লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে ছিল। সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুতির সঙ্গে করমণ্ডল এক্সপ্রেস ও মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষের কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল কি না, তা এখনও বলতে পারছেন না কর্মকর্তারা।

ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থলের আশপাশে যেসব সেনাঘাঁটি রয়েছে, সেখান থেকে সেনাদের যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যেন তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারে।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উদ্ধার অভিযান, আহতদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য ভারতের সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে। ইস্টার্ন কমান্ড থেকে সেনা মেডিকেল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং দল, অ্যাম্বুলেন্স ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি মোতায়েন করা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বিভিন্ন ঘাঁটি থেকে সেনাদের পাঠানো হয়েছে।


এডিএস/

আন্তর্জাতিক সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ