প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২১, ০৪:৫৩ পিএম
অন্য সময়ের মতোই
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘ
মানবাধিকার পরিষদে উত্থাপিত সর্বশেষ রেজুলেশনে আপত্তি করেছে চীন। তবে এবার
তারা ততটা কঠোর হয়নি।
আপস-আলোচনায় মৃদু আপত্তি বজায়
রাখলেও রেজুলেশনটি পাস করার ক্ষেত্রে
চীন এবার বাধা হয়ে
দাঁড়ায়নি। ফলে চূড়ান্ত বিচারে
সোমবার (১২ জুলাই) জেনেভায়
মানবাধিকার পরিষদের ৪৭তম অধিবেশনে প্রস্তাবটি
সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়েছে।
জাতিসংঘের
মানবাধিকার পরিষদে সোমবার রাতে পাস হওয়া
প্রস্তাবে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পক্ষে জবাবদিহিতা, তাদের ওপর চালানো নিপীড়নের
বিচার এবং তাদের নিজ
দেশে প্রত্যাবাসনে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
জেনেভায়
জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশন থেকে এক
বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছে, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের
বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণের পর এই প্রথম
কোনো প্রস্তাব কোনো ভোটাভুটি ছাড়াই
জাতিসংঘে গৃহীত হলো। এই প্রস্তাবটিকে
বাংলাদেশের জন্য একটি 'বড়
মাইলফলক' হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই
প্রস্তাব গ্রহণের মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গা
মুসলমান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের
বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মূল কারণ নিয়ে
মানবাধিকার পরিষদে একটি প্যানেল আলোচনা
অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত হয়।
জেনেভায়
মানবাধিকার পরিষদের ৪৭তম অধিবেশনে বাংলাদেশের
উদ্যোগে ইসলামিক সম্মেলন সংস্থা ওআইসি'র সব রাষ্ট্রের
পক্ষ থেকে 'রোহিঙ্গা মুসলিম ও মিয়ানমারের অন্যান্য
সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার পরিস্থিতি' শীর্ষক প্রস্তাবটি উপস্থাপিত হয়েছিল।
গৃহীত
প্রস্তাবে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যৌন অপরাধসহ সকল
প্রকার নির্যাতন, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে
অভিযুক্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের
জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিচার
ব্যবস্থার আওতায় আনার ওপর গুরুত্ব
দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের
বিরুদ্ধে তদন্ত প্রক্রিয়া জোরদারেরও আহ্বান জানানো হয়।
আন্তর্জাতিক
অপরাধ আদালত এবং আন্তর্জাতিক আদালতে
চলমান বিচার প্রক্রিয়াকে সমর্থন জানানো হয় পাস হওয়া
ওই প্রস্তাবে। এতে জাতিসংঘ মানবাধিকার
হাইকমিশনারকে মিয়ানমারবিষয়ক 'নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তথ্যানুসন্ধানী মিশনে'র সুপারিশ বাস্তবায়নের
অগ্রগতির ওপর মানবাধিকার পরিষদ
এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রতিবেদন উপস্থাপনের অনুরোধ জানানো হয়।
মিয়ানমারে
গণহত্যা ও ভয়াবহ নির্যাতনের
শিকার হয়ে ২০১৭ সালের
পর কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে
আশ্রয় নেয়।
শামীম/এএমকে