• ঢাকা মঙ্গলবার
    ২১ মে, ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

কাবুল দূতাবাসের কর্মীদের সরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০২১, ০১:৪৭ পিএম

কাবুল দূতাবাসের কর্মীদের সরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

কাবুলে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের সব কর্মীকে হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সরিয়ে আনার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া দূতাবাস চত্বর থেকে সব পতাকাও নামিয়ে ফেলা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানে প্রায় ২০ বছর পর মার্কিন দূতাবাস বন্ধ করা হচ্ছে। এটি বিশ্বের অন্যতম বড় দূতাবাস।

সোমবার (১৬ আগস্ট) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। 

খবরে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর নিশ্চিত করেছে যে, আফগান দূতাবাসের সব কর্মীকে কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের একটি ভবনে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। দফায় দফায় মার্কিন কর্মীদের বিমানে করে সরিয়ে আনা হচ্ছে। কর্মীদের সরিয়ে আনার এই প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে অতিরিক্ত প্রায় ছয় হাজার সেনা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

পেন্টাগন ও মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যৌথ বিবৃতিতে বলছে, বেসামরিক ও সামরিক ফ্লাইটে মার্কিন কর্মকর্তাদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সুরক্ষিত রাখতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস জানিয়েছেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তা রস উইলসনসহ দূতাবাসের সব কর্মকর্তা বিমানবন্দরে রয়েছেন।  মার্কিন দূতাবাস চত্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সব পতাকা নামিয়ে ফেলা হয়েছে। 

এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করে বলেছেন, মার্কিন কর্মকর্তাদের সরিয়ে নেয়ায় গুরুত্ব দিতে গিয়ে বাণিজ্যিক ফ্লাইট চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

এদিকে আফগানিস্তানে চলমান যুদ্ধের সমাপ্তি হয়েছে বলে জানিয়েছে তালেবান। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার আহ্বানও জানিয়েছে গোষ্ঠীটি।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মোহাম্মদ নাইম নামে তালেবানের মুখপাত্র বলেন, তালেবান বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকতে চায় না। শাসনের ধরন ও রাষ্ট্রীয় গঠন কাঠামো খুব শিগগিরই পরিষ্কার করা হবে।

২০২১ সালের এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আফগানিস্তান থেকে ৩১ আগস্টের মধ্যে সব মার্কিন ও ন্যাটো সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়। এর পর মে মাস থেকে আফগানিস্তান দখলে অভিযান শুরু করে তালেবানগোষ্ঠী। মাত্র আড়াই মাসের মধ্যে দেশের ৩৪টি প্রদেশের ২৮টি দখল করে বর্তমানে কাবুলে অবস্থান করছে।
 
ইতোমধ্যে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি পদত্যাগ করেছেন এবং দেশটিতে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রক্রিয়া এগিয়ে চলছে।

টিআর/সবুজ/এএমকে
আর্কাইভ