সিটি নিউজ ডেস্ক
                                  
              করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেশের প্রতিটি প্রান্তেই টিকা প্রদান করছে সরকার। সেই ধারাবাহিকতায় বাদ যায়নি দৌলতদিয়া পতিতালয়ের যৌনকর্মীরাও। একদিনের টিকাদান কর্মসূচীর আওতায় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পতিতালয়ের শত শত যৌনকর্মীদের দেয়া হয়েছে করোনাভাইরাসের টিকা। আশা করা হচ্ছে, এর মধ্য দিয়ে  পুনরুজ্জীবিত হবে মহামারীতে বিধ্বস্ত এই জনগোষ্ঠী।
ইস্টার্ন আই এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- কর্তৃপক্ষ সেখানে বসবাসরত যৌনকর্মীদের টিকা দেওয়ার চেষ্টা করছিল, কিন্তু সরবরাহের ঘাটতিতে তা বাধাগ্রস্ত হয়েছিল।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ফেব্রুয়ারি মাস থেকে দৌলতদিয়ার প্রায় ২০০ জন যৌনকর্মীকে ভারতের তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজ দিয়েছিলেন। কিন্তু নয়াদিল্লি রপ্তানি বন্ধ করার পর তারা আর ওই কর্মসূচি সম্প্রসারিত করতে পারেনি।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, টিকাপ্রাপ্তির বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্স এর আওতায় বাংলাদেশ চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে লাখ লাখ ডোজ টিকা পাওয়ার পর বুধবার প্রকল্পটি আবার শুরু করা হয়েছে।
দৌলতদিয়ার প্রধান চিকিৎসক আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের এখন পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। শহরে টিকা নেয়ার জন্য বড় লাইন দেখাটা খুবই সন্তোষজনক।’
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার (১৮ আগষ্ট) প্রায় ৪০০ চীনা সিনোফার্ম টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে যৌন কর্মীদের অবশিষ্ট (টিকার জন্য) যোগ্য জনসংখ্যার অধিকাংশকে টিকাদান সম্পন্ন হয়েছে।
যদিও এই টিকাদান ছিল শুধুই ২৫ বছরের বেশি বয়সী নারীদের জন্য, কিন্তু পতিতালয়ের অনেকেই অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে।
টিকাদানের বিষয়ে সেখানকার বাসিন্দা ২৬ বছর বয়সী রোকসানা বলেন, বিশ্বে মানুষ করোনায় মারা যাচ্ছে। আর আমরা মারা যাচ্ছি না খেতে পেয়ে। ধীরে ধীরে আমরা যেহেতু টিকা পাচ্ছি, তাই আশা করছি আমরা আবারো কাজে ফিরতে পারবো।
ইফাত
									
                                  
                                
                  
                    
                  
                    
                      ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন