প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১, ০২:১২ পিএম
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে যোগ
দিতে নিউইয়র্কে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার
(১৭ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন তিনি।
আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুর
দেড়টায় জেএফকে এয়ারপোর্টে পৌঁছানোর কথা রয়েছে তার।
এরপর ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের
অধিবেশনে সরাসরি ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
এবার
জাতিসংঘের এই সাধারণ অধিবেশনটি
হচ্ছে স্বল্প পরিসরে। এবারের অধিবেশনে অল্প কয়েকজন বিশ্বনেতা
যোগদান করবেন, তার মধ্যে আওয়ামী
লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যতম।
সাম্প্রতিক বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের নানা বাস্তবতায় শেখ
হাসিনা বিশ্বে একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা।
তার এই নেতা হওয়ার
পেছনে রয়েছে মূলত পাঁচ কারণ—
১.
অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বিনির্মাণ : আফগানিস্তানে তালেবানদের উত্থানের ফলে বিশ্বব্যাপী মৌলবাদের
উত্থানের একটি শঙ্কা দেখা
দিয়েছে। বিশেষ করে সিরিয়া, ইরাক,
লিবিয়াসহ বিভিন্ন দেশগুলোতে আল-কায়দাসহ বিভিন্ন
জঙ্গিগোষ্ঠীর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে।
সেখানে বাংলাদেশ বিশ্বে একটি অসাম্প্রদায়িক ইসলাম
প্রধান রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত। বিশ্বে বাংলাদেশ শান্তিবাদী ইসলামের একটি রোল মডেল।
কারণ, বাংলাদেশে ৯০ শতাংশের বেশি
মানুষ মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও এখানে
উগ্রবাদ-মৌলবাদের কোনো প্রশ্রয় নেই।
প্রধানমন্ত্রী ধর্মীয় পবিত্রতাকে রক্ষা করে একটি অসাম্প্রদায়িক
রাষ্ট্র বিনির্মাণ করেছেন এবং জঙ্গিবাদের হাত
থেকে দেশকে মুক্ত করেছেন। তার এই অসাম্প্রদায়িক
রাষ্ট্র বিনির্মাণ এবং জঙ্গিবাদ দমনের
কৌশল বিশ্বের কাছে রোল মডেল।
২.
শান্তি মিশন : জাতিসংঘ শান্তি মিশনে নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির কারণে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে কাজ অনেক চ্যালেঞ্জিং
হয়ে পড়েছে। আর তাই শান্তি
মিশনে নেতৃত্বদানকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের
প্রধানমন্ত্রী এখন একজন গুরুত্বপূর্ণ
নেতা।
৩.
জলবায়ু পরিবর্তন : জো বাইডেন মার্কিন
প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী জলবায়ু
ইস্যুটি আবারও সামনে এসেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি প্রাকৃতিক দুর্যোগ জলোচ্ছ্বাস ও টর্নেডোর কবলে
পড়েছে। বিশেষ করে নিউইয়র্কে জলোচ্ছ্বাস
ও টর্নেডোর ফলে বন্যা দেখা
দিয়েছে। জলবায়ুতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। জলবায়ু ইস্যুতে তৃতীয় বিশ্বের নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা আগে থেকেই ছিলেন
এবং তিনি বারবার জলবায়ুতে
বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে এক হওয়ার আহ্বান
জানিয়েছেন। এই ইস্যুতে শেখ
হাসিনা বিশ্বে একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা।
৪.
টিকা বৈষম্য : বিশ্বে এখন টিকা নিয়ে
বৈষম্য দেখা যাচ্ছে। এই
বৈষম্যের কারণে মধ্যআয়ের এবং গরীব দেশগুলোর
জন্য এখন টিকা পাওয়া
একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেখানে
শেখ হাসিনাই হচ্ছেন প্রথম কণ্ঠস্বর যেখানে তিনি এই টিকা
বৈষম্য নিয়ে কথা বলছেন
এবং একটি সাম্যতার কথা
বলছেন। এর ফলে বিশ্বে
টিকা বঞ্চিত দেশগুলোর কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিণত হয়েছেন শেখ হাসিনা।
৫.
উগ্রবাদ-জঙ্গিবাদ দমন : বিশ্বব্যাপী
সন্ত্রাসবাদ এবং উগ্রবাদের যে
চিত্র সেই তুলনায় প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সন্ত্রাসবাদ এবং উগ্রবাদমুক্ত করেছেন।
এই প্রেক্ষাপটেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন
রোল মডেল। কারণ, তার যে শান্তির
দর্শন তা জাতিসংঘে গৃহীত
হয়েছে ২০১২ সালে। করোনা-পরবর্তী বিশ্বে সন্ত্রাসবাদের একটি উত্থান হচ্ছে।
শুধু যে ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদ
তা নয়, বিভিন্ন গোষ্ঠীর
মধ্যে সন্ত্রাসবাদের উত্থান হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটেও বিশ্বে
শেখ হাসিনা একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা।
এস/এএমকে