• ঢাকা শুক্রবার
    ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

পুলিশের ওপর হামলা করে পালানোর সময় গুলিবিদ্ধ টিকটক হৃদয়

প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২১, ০৭:৩৮ পিএম

পুলিশের ওপর হামলা করে পালানোর সময় গুলিবিদ্ধ টিকটক হৃদয়

লাইজুল ইসলাম

বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতারের পর ভারতীয় পুলিশ শুক্রবার চার তরুণকে তাদের আবাসস্থলে নিয়ে যায়। সেখান থেকেই টিকটক হৃদয় বাবু ও সাগর পুলিশকে আক্রমণ করে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি করলে হৃদয় ও সাগর হাঁটুতে গুলিবিদ্ধ হয়। ভারতীয় পুলিশ বলছে, তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়। 

ন্যাশনাল হেরাল্ড ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, শুক্রবার (২৮ মে) সকালে পুলিশের হেফাজত থেকে পালানোর চেষ্টা করলে টিকটক হৃদয় বাবু ও সাগর গুলিবিদ্ধ হয়।

এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে নারীসহ টিকটক হৃদয় বাবু, সাগর, মোহাম্মদ বাবা শেখ ও হাকিল নামে চার তরুণকে গ্রেফতার করে ব্যাংগালুরু পুলিশ। গ্রেফতার নারীর পরিচয় জানানো হয়নি। ভারতীয় পুলিশ বলছে, গ্রেফতার সবাই অবৈধভাবে ভারতে গেছেন। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে যে তরুণীকে পৈশাচিক নির্যাতন করা হয়েছে, তাকেও এই চক্রটি অবৈধভাবে ভারতে নিয়ে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করেছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। নির্যাতনের শিকার ওই তরুণীর সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি।

ব্যাংগালুরু পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতারের পর শুক্রবার তদন্তের জন্য থানা থেকে গ্রেফতার চার তরুণকে তাদের আবাসস্থলে নিয়ে যায়। সেখান থেকেই টিকটক হৃদয় বাবু ও সাগর পুলিশকে আক্রমণ করে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি করলে হৃদয় ও সাগর হাঁটুতে গুলিবিদ্ধ হয়। এখন তাদের একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ব্যাংগালুরু পুলিশ বলছে, বনসওয়াদির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসিপি) এন এস সাকরি ও তার দল ওই চার জনকে কে. চান্নাসান্দ্রা এলাকায় নিয়ে যাওয়া গহয়। পুলিশের ধারণা, সেখানেই ওই তরুণীকে পাশবিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছিল। সেখানেই পুলিশের ওপর আক্রমণ চালানোর চেষ্টা করে হৃদয় ও সাগর। এসময় রামামূর্তি নগর পুলিশের ইন্সপেক্টর মেলভিন ফ্রান্সিস তাদের ওপর গুলি চালান। পরে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পুলিশ ধারণা করছে, নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী কর্ণাটকে নেই। তিনি পাশের কোনো রাজ্যে চলে গেছেন। তার সন্ধানে বিশেষ একটি অভিযানিক দল মাঠে নেমেছে।

লাইজুল ২৮ মে
আর্কাইভ