প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২৫, ০৩:০৭ পিএম
চোরাই পণ্য অনুপ্রবেশ ঠেকাতে, পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে সন্ধ্যা ৬টার পর সব ধরনের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে কাস্টম হাউজ। এতে সীমান্তজুড়ে পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ জট সৃষ্টি হয়েছে। বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
কাস্টমস কর্তৃপক্ষের দাবি, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের সাথে বৈঠক করে নেয়া হয়েছে এ সিদ্ধান্ত। তবে অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা বলছেন, এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়নি।
মূলত, ২০১৭ সালের ১ আগস্ট দুই দেশের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেনাপোল-পেট্রাপোল ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট ২৪ ঘণ্টাই চালু রাখার ঘোষণা দেয়া হয়। গত বছর রাজস্ব বোর্ড দেশের সব কাস্টমস হাউস ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার নির্দেশ দেয়। তবে, বেনাপোলে সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন হয়নি।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতিদিন গড়ে ২০০ থেকে ২৫০ কোটি টাকার আমদানি-রফতানি হয় এ বন্দর দিয়ে। সময়সীমা কমে যাওয়ায় বাণিজ্যে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। সীমান্তে প্রতিদিন আটকে থাকছে দেড় হাজারেরও বেশি পণ্যবাহী ট্রাক। এসব ট্রাকে রয়েছে ফল, সবজি, মাছ, রাসায়নিক কাঁচামালসহ দ্রুত পচনশীল পণ্য।
আগে প্রতিদিন গড়ে ৪০০ থেকে ৪৫০ ট্রাক পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করলেও এ সিদ্ধান্তের পর তা কমে ১৮০ থেকে ২০০টিতে নেমেছে।
আমদানি-রফতানিকারক সমিতির হিসাব অনুযায়ী, প্রতিদিন প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ কোটি টাকার পণ্য খালাস আটকে থাকায় ব্যবসায়ীরা যেমন বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন, তেমনি সরকারও প্রতিদিন কয়েক কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।