• ঢাকা শুক্রবার
    ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

গণপরিবহনে ই-টিকেট চালু, থাকছে না অতিরিক্ত ভাড়ার ঝামেলা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২, ১১:১০ পিএম

গণপরিবহনে ই-টিকেট চালু, থাকছে না অতিরিক্ত ভাড়ার ঝামেলা

আদালত প্রতিবেদক

রাজধানীর গণপরিবহনগুলোতে চালু করা হয়েছে ই-টিকেটিং ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে আদায় করা হচ্ছে চার্ট অনুযায়ী ভাড়া। তাই থাকছে না এখন আর বাড়তি ভাড়ার ঝামেলা। ফলে অতিরিক্ত ভাড়া থেকে মুক্তি পাবেন গণপরিবহনে চলাচলকারী যাত্রীরা। গণপরিবহনে ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য দীর্ঘদিনের। সরকার ভাড়া নির্ধারণ করে দিলেও তা মানতো না কোনো গণপরিবহন। আর এ বিষয়ে যাত্রীদের অভিযোগেরও অন্ত ছিল না।

তবে এবার যাত্রীদের জন্য সুখবর নিয়ে এলো পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। রাজধানীতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) থেকে চালু হয়েছে ই-টিকেটিং ব্যবস্থা। কয়েকটি রুটে মিরপুর সুপার লিংক, পরিস্থান, প্রজাপতি ও বসুমতিসহ বেশ কয়েকটি বাস পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করেছে এ কার্যক্রম।

এ ব্যবস্থা পুরোপুরি কার্যকর হলে সাধারণ যাত্রীদের গুনতে হবে না অতিরিক্ত ভাড়া। তাই নতুন এই সিস্টেমকে স্বাগত জানিয়েছেন যাত্রীরা।

টিকিট বিক্রেতারা বলছেন, ই- টিকেটিং চালু হওয়ায় যাত্রী হয়রানি কমার পাশাপাশি ভাড়ারও সমন্বয় করা হচ্ছে।

জনসাধারণের সুবিধার্থে পর্যায়ক্রমে সব রুট ও বাসেই ই-টিকেটিং চালুর দাবি জানান যাত্রীরা।

এর আগে গত ৩১ আগস্ট বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআরটিএ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েতুল্লাহ বলেছিলেন, নগরীর পাঁচটি রুটে ই-টিকেটিং পরীক্ষা করে শিগগিরই তা পুরো ঢাকায় চালু করা হবে।

তিনি বলেছিলেন, কাউন্টারে একটি পজ মেশিন থাকবে, এর মাধ্যমে যাত্রীরা টিকিট কেটে গাড়িতে উঠবেন। যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া যাতে আদায় না হয়, সেজন্য আমরা ই-টিকেটিং সিস্টেমে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এজন্য একটি কোম্পানির সাথে আলোচনাও হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন খন্দকার এনায়েতুল্লাহ। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা ১০ থেকে ১৫ দিনের জন্য ঢাকার পাঁচটি সড়ককে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে নেব। সেখানে এ সিস্টেমের টিকেট বিক্রির পরীক্ষা করে দেখা হবে। আমরা যদি এই প্রজেক্টে সফলতা পাই, তবে আশা করছি পুরো ঢাকা শহরেই গণপরিবহনে ই-টিকেটিং সিস্টেম চালু হয়ে যাবে।’

 

এআরআই

জাতীয় সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ