• ঢাকা মঙ্গলবার
    ১৪ মে, ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১

আজ শহীদ নূর হোসেন দিবস

প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২২, ০৮:১২ এএম

আজ শহীদ নূর হোসেন দিবস

আজ শহীদ নূর হোসেন দিবস

আব্দুল বারী, ঢাকা

মরেও যারা অমর তাদেরই একজন নূর হোসেন। এই নূর হোসেন আজ গণতন্ত্রের প্রতিক। কেবলমাত্র বাংলাদেশই নয় সমগ্র পৃথিবীতে গণতন্ত্রের জন্য যারা শহীদ হয়েছেন নূর হোসেন তাদেরই একজন। ১৯৮৭ সালের এই দিনে গণতন্ত্রের লড়াইয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন নূর হোসেন।

প্রতি বছর গণতন্ত্রকামী মানুষেরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে নূর হোসেনের আত্মত্যাগ। নূর হোসেন জিরো স্কয়ার চত্বরে শহীদ হয়েছিলেন। তার নামানুসারে জিরো স্কোয়ারের নামকরণ করে নূর হোসেন স্কয়ার নামকরণ করা হয়। ১৯৯১ সালে তার নামে স্মারক ডাক টিকেট প্রকাশ করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার ফুলার রোডে স্থাপিত হয়েছে নূর হোসেনের স্ট্যাচু।

সেই সময়ের রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে বহুদিন ধরে আন্দোলন চলে আসছিল। জোটবদ্ধ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর ‘ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি’ দেয়। তাদের দাবি ছিল এরশাদ সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সেদিন নূর হোসেন গায়ের জামা খুলে বুক ও পিঠে সাদা রঙে লিখিয়ে নেন ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক: গণতন্ত্র মুক্তি পাক’।

গণমিছিলের আগে থাকা গণতন্ত্রের নির্ভীক এই সৈনিককে লক্ষ করে পুলিশ গুলি ছোড়ে। পুলিশের সেই গুলিতে জিপিও-র সামনে জিরো পয়েন্টে নূর হোসেন নিহত হন। সে নিহত হলেও তার বুকে-পিঠে লেখা স্লোগান সারা দেশে জন স্লোগানে পরিণত হয়। এই স্লোগানেই ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর এরশাদ সরকারের পতন ঘটে ।

১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর পুলিশের গুলিতে নিহত নূর হোসেনের জন্ম ১৯৬১ সালে। তার পিতা মুজিবর রহমান ছিলেন ঢাকার বেবি-ট্যাক্সি চালক। তার পৈতৃক নিবাস ছিল পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার ঝাটিবুনিয়া গ্রামে।

স্বাধীনতার পর তার পরিবার ঢাকায় এসে বনগ্রাম রোডের ৭৯/১ নং বাড়িতে বসবাস শুরু করে। নূর হোসেন বনগ্রামের রাধাসুন্দরী প্রাইমারি স্কুলে প্রাথমিক পাঠ শেষ করেন। ঢাকার গ্রাজুয়েট হাইস্কুল থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছিলেন। এরপর পড়াশুনা বন্ধ করে মোটর ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। নূর হোসেন ছিলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বনগ্রাম শাখার প্রচার সম্পাদক।

আর্কাইভ