প্রকাশিত: মে ২৪, ২০২৩, ০৯:০২ পিএম
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবশ্যই মুক্ত, অবাধ ও সুষ্ঠু হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক যে অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে, তা কখনোই বিপন্ন করবে না বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
বুধবার (২৪ মে) কাতার ইকোনমিক ফোরামের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে এক আলোচনায় একথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৫ সালে আমার বাবাকে হত্যার পর সামরিক বাহিনী দেশের ক্ষমতা দখল করে এবং সে সময় সব নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সংকটাপন্ন করে তোলা হয়েছিল। সে সময় নির্বাচন ছিল স্রেফ তামাশা। এরপর যখন আমি ১৯৮১ সালে দেশে ফিরি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আমাকে দলের সভানেত্রী নির্বাচন করে, সেই তখন থেকে আজও আমি গণতন্ত্র, জনগণের ভোটের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছি।’
দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দেশে মুক্ত, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করাই আমাদের সংগ্রাম। আমরা ক্ষমতায় থাকাকালে এটি করে দেখিয়েছি। হ্যাঁ, কিছু ক্ষেত্রে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে। কিন্তু বিরোধীদের যে অবস্থান, বিশেষ করে প্রধান যে বিরোধীদল তা তো একজন স্বৈরশাসকের হাতে গড়া। প্রথমে তারা ক্ষমতা দখল করেছে, তারপর দল গঠন করেছে। ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে কেউই কোনো প্রশ্ন তোলেনি। কিন্তু সেই নির্বাচনের ফলাফল কী ছিল? সেই দলটি ৩০০ আসনের মধ্যে মাত্র ২৯টি আসন পেয়েছিল।’
‘দেশের মানুষই ঠিক করবে কারা দেশ পরিচালনা করবে এবং আমি এই অধিকার নিশ্চিত করতে চাই। এটি জনগণেরই ক্ষমতা, আমি তাদের ক্ষমতা তাদের কাছেই রাখতে চাই। ক্ষমতা দখল করে রাখতে চাই না; বরং আমি দেশের জনগণকেই ক্ষমতায়িত করতে চাই, যাতে তারা তাদের অধিকার চর্চা করতে পারে। সুতরাং আমাদের সরকারের অধীনে নির্বাচন অবশ্যই মুক্ত, অবাধ ও সুষ্ঠু হবে,’ যোগ করেন শেখ হাসিনা।
এডিএস/