• ঢাকা বুধবার
    ১৫ মে, ২০২৪, ৩১ চৈত্র ১৪৩১

রাজধানীতে লেগুনা চালকের পা ভেঙে দিল পুলিশ

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২৩, ০৫:২৫ এএম

রাজধানীতে লেগুনা চালকের পা ভেঙে দিল পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুরাইনে ট্রাফিক পুলিশের ভিডিও করায় আল আমিন হোসেন শান্ত (২৮) নামে এক যুবকের পা ভেঙে দিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ। শান্ত যাত্রাবাড়ী-পোস্তগোলা সড়কের লেগুনা চালক। শনিবার সকাল পৌনে ৮টায় জুরাইন ট্রাফিক পুলিশ বক্সে এ ঘটনা ঘটে।

শান্ত সিটি নিউজ ঢাকাকে বলেন, শনিবার সকাল পৌনে ৮টা থেকে ৮টার মধ্যে জুরাইন টাওয়ারের সামনে রাইদা পরিবহণের এক চালক ট্রাফিক পুলিশ এএসআই নুরুজ্জামানের পায়ে ধরেন। এ সময় নুরুজ্জামান তাকে লাথি মেরে ফেলে দেন। এভাবে কয়েকবার চালক ট্রাফিক পুলিশের পায়ে ধরার পর বারবারই তাকে লাথি মেরে ফেলে দেন। আমি এ ঘটনার ভিডিও করি। এমন সময় ট্রাফিক পুলিশ আমাকে ভিডিও করতে দেখে আমার হাত থেকে মোবাইল সেট কেড়ে নেন এবং আমাকে মারধর করতে করতে ট্রাফিক পুলিশ বক্সের নিচে নিয়ে যান। সেখানেও আমাকে বেদম মারধর করতে থাকেন। 

এক পর্যায়ে আমাকে টেনেহিঁচড়ে ট্রাফিক পুলিশ বক্সের দ্বিতীয়তলায় একটি রুমে নিয়ে যান। সেখানে এএসআই নুরুজ্জামান, কনস্টেবল বারীসহ আরেক কনস্টেবল তাদের বুট দিয়ে আমাকে লাথি, কিল, ঘুসি মারতে থাকেন এবং বলেন, তুই জামায়াত-শিবির ও বিএনপির লোক। আমার ডাক চিৎকারে আমার সহকর্মীসহ স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে প্রাণে রক্ষা পাই। ততক্ষণে আমার বাম পায়ের হাঁটুর বাটি খুলে যায়। পরে সহকর্মীরা আমাকে পোস্তগোলা সাউথইস্ট ক্লিনিকে ভর্তি করে। আমার হাঁটুর বাটি খুলে যাওয়ার কারণে প্লাস্টার করা হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনায় শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে কদমতলী থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আদম আলী ও কদমতলী থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরজাহান বেগম সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

ওয়ারী জোনের ট্রাফিক এসি নীপা বিশ্বাস ঘটনাস্থলে এসে চালক আল আমিন হোসেন শান্তর চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। তিনি সিটি নিউজ ঢাকাকে বলেন, দোষীদের ইতোমধ্যেই ক্লোজড করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।

শান্তর বৃদ্ধ মা খোদেজা বেগম সিটি নিউজ ঢাকাকে বলেন, কী অপরাধে আমার ছেলেকে এভাবে মারধর করে পা ভেঙে দিল? আমাদের সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী আমার ছেলে শান্ত। এখন আমরা কী খাব? কোথায় যাব? আমার ছেলেকে যারা মেরে পা ভেঙে দিয়েছে তাদের শাস্তি চাই।

 

জেকেএস/

আর্কাইভ