প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২১, ১১:২৮ এএম
গত সপ্তাহের তুলনায়
এ সপ্তাহে বেড়েছে ডাল, ডিম, মুরগির
ও পেঁয়াজের দাম। তবে অপরিবর্তিত
রয়েছে সবজিসহ অন্যান্য পণ্যের দাম। শুক্রবার (১০
সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার,
মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা
ঘুরে এসব চিত্র উঠে
এসেছে।
বাজারে
বেশিরভাগ সবজি আগের দামে
বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে প্রতি
কেজি (গোল) বেগুন ৮০
টাকা, লম্বা বেগুন ৫০ থেকে ৪০
টাকা, করলা ৬০ টাকা,
ইন্ডিয়ান টমেটো ১০০ টাকা, সিম
১২০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা। চাল
কুমড়া পিস ৪০ টাকা,
প্রতি পিস লাউ আকারভেদে
বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি
কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা,
চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, পটল
৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, লতি
৮০ টাকা ও কাকরোল
৮০ থেকে ৬০ টাকা।
এসব
বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে
২০ থেকে ২৫ টাকা
কেজি। পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫
টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি
হচ্ছে ৪৫ টাকায়। বাজারে
আগের দামে বিক্রি হচ্ছে
কাঁচা মরিচ। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে
১০০ টাকায়। কাঁচা কলার হালি বিক্রি
হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০
টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে
৪০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে
৬০ থেকে ৮০ টাকায়।
লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে
১০ থেকে ১৫ টাকায়।
এ
ছাড়া শুকনো মরিচ প্রতি কেজি
১৫০ থেকে ২৫০ টাকা,
রসুনের কেজি ৮০ থেকে
১৩০ টাকা, আদার দাম ২০
টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে
১০০ টাকা। হলুদ ১৬০ টাকা
থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি
হচ্ছে। ইন্ডিয়ান ডালের দাম ৫ টাকা
বেড়ে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০
টাকায়।
এসব
বাজারে কেজিপ্রতি চিনি বিক্রি হচ্ছে
৮০ টাকায়। এ ছাড়া প্যাকেট
চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে
৮৫ টাকায়। বাজারে গত সপ্তাহের দামে
বিক্রি হচ্ছে আটা। প্রতি কেজি
আটা বিক্রি হচ্ছে ৩৩ থেকে ৩৫
টাকায়।
লাল
ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে
১০৮ থেকে ১১০ টাকায়।
হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে
১৬০ টাকা। দেশি মুরগির ডিম
বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। সোনালি
(কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে
১৫০ টাকায়।
সোনালি
(কক) মুরগির দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে
৪০ থেকে ৫০ টাকা।
প্রতি কেজি সোনালি (কক)
মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০
টাকায়। গত সপ্তাহে বিক্রি
হয় ২৩০ থেকে ২৪০
টাকা কেজি।
বাজারে
ব্রয়লার মুরগি কেজি বিক্রি হচ্ছে
১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা।
লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে
২৩০ থেকে ২৪০ টাকা।
মুরগির
দাম বাড়ার বিষয়ে খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী মো. বাবু বলেন,
‘হোটেল-রেস্টুরেন্ট সব কিছু খুলে
দেওয়া হয়েছে। মানুষ এখন অনেকটাই স্বাভাবিক
চলাচল করছে। হোটেলগুলোতে বিক্রি বেড়েছে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানও হচ্ছে। ফলে মুরগির চাহিদা
বেড়েছে। এ কারণেই দাম
বেড়েছে।’
কাপ্তান
বাজারের ব্যবসায়ী আলী হোসেন বলেন,
‘কয়েকদিন ধরে সোনালি মুরগির
চাহিদা অনেক বেড়েছে। বাজারে
মুরগির যে চাহিদা তার
তুলনায় সরবরাহ কম। এটাই মুরগির
দাম বাড়ার সব থেকে বড়
কারণ। আমাদের ধারণা সামনে মুরগির দাম আরও বাড়তে
পারে।’
জেডআই/এএমকে