• ঢাকা শুক্রবার
    ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজার, নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা জরুরি

প্রকাশিত: মে ৫, ২০২৩, ০৭:১৯ পিএম

লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজার, নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা জরুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আবারও লাগামহীন রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজার। নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় বাজারে আসা ভোক্তারা এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। বাড়তি দামে ঘাম ছুটে যাচ্ছে তাদের।

শুক্রবার (৫ মে) রাজধানীর কাওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে প্রায় সব নিত্যপণ্যই বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে।

মাসখানেক ধরে লাগাতার বেড়ে এখন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুন দামে। আগে যে মানের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়, রাজধানীর বাজারে সেই মানের দেশি পেঁয়াজ বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। পেঁয়াজের মতোই সরবরাহ সংকটে পড়ে সপ্তাহ দু-এক ধরে ঊর্ধ্বমুখী আদা-রসুন আর আলুর দাম।

পেঁয়াজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সপ্তাহ দু-একের ব্যবধানে কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে আদা-রসুনের দাম। নানা পদের মসলারও দাম বাড়তি। দাম বৃদ্ধির তালিকায় এবার যোগ দিয়েছে সস্তা পণ্য হিসেবে দীর্ঘদিনের পরিচিত আলুও।

এদিকে মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণার পর খোলা সয়াবিন বাড়তি দামে বিক্রি শুরু হলেও এখনও আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে বোতলজাত সয়াবিন। অস্থির মুরগির বাজারে। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ টাকায়। যদিও ব্রয়লারের দাম কেজিতে ১০ টাকা কমে ২২০ টাকায় নেমেছে।
 
অন্যদিকে বেশকিছু দিন ধরে সংকটে চিনির বাজার। এ নিয়ে কাওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, চিনির দাম বেড়ে যাওয়ায় দোকানে রাখছি না। সরকার মূল্য নির্ধারণ করেছে, ঠিক আছে। কিন্তু তার আগে তো বাজারটা ঠিক করতে হবে। ন্যায্য দাম দিয়ে কেনা যাচ্ছে না। তা হলে ন্যায্য দামে বিক্রি করব কীভাবে?


সকালে কারওয়ান বাজারে পণ্য কিনতে আসা বিশ্বজিৎ দাস বিজয় নামে এক ক্রেতা বলেন, চাকরির কারণে প্রতিদিন বাজার করা সম্ভব হয় না। তাই সাপ্তাহিত ‍ছুটির দিনে পুরো সপ্তাহের জন্য বাজার করতে আসি এখানে। কিন্তু আজ এসে দেখি, প্রায় সব পণ্যের দামই বাড়তি। তাই যে পরিমাণ পণ্য কেনার ইচ্ছা ছিল, তার চেয়ে অনেক কম কিনেছি। 

সব মিলিয়ে ভোক্তাদের নাভিশ্বাস উঠলেও বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ সংকটে পড়ে নিরুপায় হয়েছেন তারা। সরকারি হস্তক্ষেপে বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা তাদের।


এডিএস/

আর্কাইভ