• ঢাকা শনিবার
    ১১ মে, ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

ভোজ্যতেলের সরবরাহ মিল মালিকরা বন্ধ করে দিয়েছেন

প্রকাশিত: মে ১০, ২০২৩, ০১:৪২ এএম

ভোজ্যতেলের সরবরাহ মিল মালিকরা বন্ধ করে দিয়েছেন

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঈদের আগে দাম বাড়িয়ে ৫০০ কোটি টাকা লাভের পর এবার ভ্যাটের নামে আরও ৪০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে ভোজ্যতেলের সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছেন মিল মালিকরা। এতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভোজ্যতেলের মারাত্মক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। প্রতি ট্রাকে ১ লাখ ৬৮ হাজার টাকা বাড়তি পরিশোধের জন্য মিল মালিকরা চাপ সৃষ্টি করলেও ডিলাররা সেই সিদ্ধান্ত মানতে রাজি নয়।

চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা এলাকার তেল কারখানাগুলোর সামনে গত ৩০ এপ্রিল থেকে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে অসংখ্য ট্রাক। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ভ্যাট প্রত্যাহারের পর তেলের দাম বাড়াবে সেই তথ্য নিশ্চিত হয়েই কারখানাগুলোতে কৌশলে তেলের ডেলিভারি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

এতে আট দিন পেরিয়ে গেলেও তেলের ডেলিভারি শুরু না হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে আটকে থাকা ট্রাকের ড্রাইভার এবং হেলপাররা। ট্রাকের নিচেই কাটছে তাদের দিন-রাত। অথচ গত ৪ এপ্রিল ভোজ্যতেলের নতুন দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

একই অবস্থা রাজধানী ঢাকা ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামের অন্যান্য তেল মিলগুলোর। বিশেষ করে তেলের নতুন দর নির্ধারণ করার পর থেকেই জটিলতা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।  অধিকাংশ কারখানা এখন তেলের সরবরাহ পুরোপরি বন্ধ করে দিয়েছে। 
 

মিল মালিকরা বলেন, সরকার ও কাস্টমস ভ্যাট বাড়িয়ে দিয়েছে। এর জন্য পণ্য দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বন্ধ রাখা হয়েছে ডেলিভারি কার্যক্রম।


তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, সরকারের বেঁধে দেয়া দামে প্রতি ট্রাক তেলের জন্য বাড়তি ১ লাখ ৬৮ হাজার টাকা পরিশোধের নির্দেশনা দিয়েছে মিল মালিকেরা। অথচ এখন যেসব তেল ডেলিভারি দেয়ার কথা তার ডিও দেয়া হয়েছে ৩ থেকে ৪ মাস আগে।

এমনকি টাকাও পরিশোধ করা হয়েছে অনেক আগেই। অর্থাৎ বাড়তি টাকা পরিশোধের নামে মিল মালিকেরা অন্তত ৪০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ সাধারণ ব্যবসায়ীদের।
 

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের  মেসার্স আর এম এন্টারপ্রাইজের মালিক মাহমুদুল হক লিটন বলেন, এ সমস্যা দ্রুত সমাধান করতে হবে। না হলে দেশে বড় ধরনের তেলের সংকট তৈরি হতে পারে।


এদিকে মিল থেকে সবরাহ বন্ধ থাকায় পাইকারীর পাশাপাশি খুচরা সব বাজারেই ভোজ্যতেলের সংকট দেখা দিয়েছে। এমনিতেই সরকারি হিসাবে সয়াবিনে দাম বেড়েছে লিটারে ১২ টাকা এবং পাম অয়েলে ১৮ টাকা। তার সঙ্গে যোগ হচ্ছে মিল গেইটে অপেক্ষায় থাকা ট্রাকের ভাড়াও। প্রতিদিন ৫ হাজার টাকা হিসাবে ট্রাক ভাড়া কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।


বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের বুকিং রেট কম থাকার সুযোগে চলতি বছরের ১০ মাসে ৫ লাখ ৭৪ হাজার মেট্রিক টন ক্রুড সয়াবিন এবং ১১ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন পাম অয়েল আমদানি করেছেন মিল মালিকেরা। এর মধ্যে অন্তত ৪ লাখ মেট্রিক টন ভোজ্য তেল মিলগুলোতে মজুত রয়েছে।

 

জেকেএস/

অর্থ ও বাণিজ্য সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ