 
              প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২৩, ০৮:৪০ পিএম
 
                 
                            
              ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কবলে ঠাকুরগাঁওয়ের কারখানাগুলো। এতে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় চাহিদামতো পণ্যসামগ্রী সরবরাহে হিমশিম খাচ্ছেন মালিকরা। এ অবস্থায় অলস সময় পার করায় শ্রমিকদেরও ছাঁটাই করা হচ্ছে।
দফায় দফায় লোডশেডিংয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের বিসিক শিল্প নগরীসহ বেশকিছু কর্মব্যস্ত কলকারখানায় স্ববিরতা নেমে এসেছে। ফলে ছোট, বড়, মাঝারি কলকারখানায় উৎপাদন অর্ধেকে নেমে এসেছে।
শিল্প নগরীর খাদ্য, প্লাস্টিক, পাটজাত পণ্যসামগ্রীসহ উৎপাদনমুখী কারখানায় নেই কর্মচাঞ্চল্য। চাহিদামতো পণ্য উৎপাদন করতে না পেরে কর্মব্যস্ততার বদলে অলস সময় পার করছেন শ্রমিকরা।
লোডশেডিংয়ে বিপাকে পড়া এক কারখানার শ্রমিক বলেন, এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকলে ৩ ঘণ্টাই বিদ্যুৎ থাকে না। ফলে মালিকের মোটামুটি ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে।
                      
আরেকজন শ্রমিক বলেন, বিদ্যুতের সমস্যার কারণে মিলগুলো বন্ধ হয়ে আছে। কারণ মেশিন চালানো যাচ্ছে না। এভাবে তো কারখানা চালানো সম্ভব না।
এদিকে উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণে মালামাল সরবরাহ করতে না পেরে কারখানার মালিকরা অনেকটা বাধ্য হয়েই শ্রমিক ছাঁটাই করছেন। তাছাড়া অনেকেই ঋণ করে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন। ফলে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় সমস্যার সম্মুখীন কারখানা মালিকরা। এভাবে চলতে থাকলে উদ্যোক্তারা দিশেহারা হয়ে পড়বেন বলে জানান ঠাকুরগাঁও বিসিক শিল্প নগরীর উপব্যবস্থাপক নুরেল হক।
তিনি বলেন, সমস্যা দূর না হলে তাদের যেভাবে উৎপাদন কার্যক্রম ধীরগতিতে চলছে ও উৎপাদন কমে যাচ্ছে, এতে কারখানা মালিকরা বেশ দুর্ভোগের মধ্যে পড়বেন।
জেলার বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ নেসকোর তথ্যমতে, জেলায় প্রায় ৪০ হাজার গ্রাহক রয়েছে।
এডিএস/
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      