• ঢাকা শনিবার
    ২৫ অক্টোবর, ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২

অর্থনীতিতে চাঞ্চল্য কমে যাওয়ায় বাড়ছে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২৫, ০১:০৯ পিএম

অর্থনীতিতে চাঞ্চল্য কমে যাওয়ায় বাড়ছে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা

সিটি নিউজ ডেস্ক

দিন দিন বাড়ছে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা। অর্থনীতিতে চাঞ্চল্য কমে যাওয়ায় তৈরি হচ্ছে সংকট। উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত কাজের সুযোগ। মূলত বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থানের যোগান দেয় তৈরি পোশাক এবং রেমিট্যান্স খাত। কিন্তু পরিবর্তিত সময়ে এই দুই খাতেই অবস্থার উন্নতি হয়নি। বরং সংকট বেড়েছে।

উদ্যোক্তারা জানান, অনিশ্চয়তা দূর করে উৎপাদন ব্যবস্থায় গতি ফেরাতে হবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করার বিকল্প নেই।

দেশের পোশাক খাতকে বলা যায় অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি। মূলত সস্তা শ্রমকে পুঁজি করেই তৈরি হয় সুযোগ। তবে, বাস্তবতা বলছে এই খাতে কমছে কাজের সুযোগ, সংকুচিত হয়েছে উৎপাদন।

তথ্য বলছে, এক বছরে বন্ধ হয়েছে শতাধিক কারখানা। বেকার হয়েছে লক্ষাধিক শ্রমিক। নতুন করে কিছু কারখানা তৈরি হলেও, সেসব কারখানায় হয়নি পর্যাপ্ত কাজের ব্যবস্থা। কর্মসংস্থানের বৃহৎ এই উৎসে এখন অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক নানামুখী চ্যালেঞ্জ স্পষ্ট।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ১০০টি কারখানা বন্ধের বিপরীতে নতুন করে চালু হচ্ছে ৩০টি। ফলে বন্ধ হওয়া বড় সংখ্যক কারখানা শ্রমিকদের সেই কম সংখ্যক জায়গায় কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব হয় না। ফলে কর্মহীনরা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়ছে।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের মতে, দুটি প্রবৃদ্ধি স্তম্ভের ওপরই বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে আছে। এগুলো হলো— তৈরি পোশাক খাত ও রেমিট্যান্স। এই দুই খাতেরই বড় উপাদান হলো সস্তা শ্রম। আমাদের দৃষ্টি রাখতে হবে নতুন প্রবৃদ্ধির চালককে বের করে আনা। সেই খাতগুলো ইতোমধ্যে প্রস্তুতও হয়েছে।

এই মূহুর্তে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে তেমন সাফল্য নেই উল্লেখ করে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই উপদেষ্টা মনে করেন- দক্ষতা অর্জনে নানামুখী উদ্যোগ আছে, কিন্তু কর্মসংস্থান নিশ্চিত হচ্ছে কমই।

তিনি বলেন, কর্মসংস্থানের অন্যতম আরেক বড় উৎস জনশক্তি। বস্ত্র এবং জনশক্তি; কর্মসংস্থানে এই দুই খাত নির্ভরতায় বেড়েছে সংকট। বেকারত্ব হ্রাস কোনো স্বল্পকালীন প্রকল্পের বিষয় নয়, এটি সার্বিকভাবে আমাদের অর্থনীতির চাকাতে বিকল্পভাবে বেগবান করার একটা প্রয়াস।

উল্লেখ্য, পরিবর্তিত এই সময়ে কমেছে সার্বিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। অনিশ্চয়তায় হচ্ছে না নতুন তেমন কোন বিনিয়োগ। প্রতিষ্ঠানিক সংস্কারও রীতিমতো থমকে আছে। সার্বিকভাবে বেকারত্ব এবং কর্মহীনতায় বাড়ছে হতাশা। উৎপাদন নিশ্চিত করা না গেলে বাড়বে অস্থিরতা—  এমনটাই মনে করেন বিশ্লেষকরা।

আর্কাইভ