• ঢাকা রবিবার
    ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সন্তানকে বাঁচাতে কান্না ছাড়া সামর্থ্য নেই বাবা-মায়ের

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২১, ০৬:৫৪ পিএম

সন্তানকে বাঁচাতে কান্না ছাড়া সামর্থ্য নেই বাবা-মায়ের

তোফায়েল হোসেন জাকির, গাইবান্ধা প্রতিনিধি

একমাত্র কন্যা জান্নাতুল মাওয়া। বয়স সবে ১৫ মাস। দুরন্ত এই শিশুর তিন মাস আগেই থেমে গেছে দুরন্তপনা। হার্টে ধরা পড়েছে ছিদ্র। সদা হাসিখুশি থাকা জান্নাতুল এখন শয্যাশায়ী। এ সন্তানকে বাঁচাতে থামছে না বাবা-মায়ের কান্না। যেন এই কান্না ছাড়া আর কোনো সামর্থ্য নেই তাদের। কারণ, নুন আন্তে পান্তা ফুরায় অবস্থা পরিবারটির।      

বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার খোর্দ্দ কোমরপুর ইউনিয়নের পাইকা গ্রামে দেখা হয় আজমির মণ্ডল ও মলিদা বেগম নামের এই দম্পতির। এ সময় তাদের অসুস্থ কন্যাশিশু জান্নাতুল মাওয়াকে কোলে নিয়ে বাড়ির আঙিনায় কাঁদছিলেন অঝোরে। 

জানা যায়, অতি দরিদ্র পরিবারের ছেলে আজমির মণ্ডল। একমাত্র বাস্তুভিটা ছাড়া অন্য কোনো সহায়সম্পদ নেই তার। জীবিকার তাগিদে রিকশা চালিয়ে কোনো মতে জীবন যাপন করে আসছিলেন। এরই মধ্যে একমাত্র কন্যাশিশু জান্নাতুল মাওয়া অসুস্থ হয়ে পড়ে। সন্তানের চিকিৎসাসেবা নিতে শুরু হয় দৌড়ঝাঁপ। ধারাবাহিকতায় প্রায় তিন মাস আগে শিশুবিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আব্দুল মালেক সরকার জানিয়েছেন জান্নাতুলের হার্টে ছিদ্র রয়েছে। তাকে সুস্থ করে তুলতে অপারেশন করতে হবে।

শিশু জান্নাতুল মাওয়ার পিতা আজমির মণ্ডল কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, সন্তানকে উন্নত চিকিৎসা নিতে প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকার দরকার। কিন্তু এটি অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে তার। ইতোমধ্যে চিকিৎসা ব্যয়ে একমাত্র সম্বল রিকশাটি বিক্রি করা হয়। একই সঙ্গে লক্ষাধিক টাকা ঋণও করা হয়েছে। এখন সব কিছু হারিয়ে পথে বসতে হচ্ছে। সন্তানের চিকিৎসা ব্যয় বহনে আর কোনো সামর্থ্য নেই তার।

তিনি আরও বলেন, ‘অন্যান্য সন্তানের মতো আমার সন্তানও বেঁচে থাকুক পৃথিবীতে- আল্লাহর কাছে এমনটা প্রার্থনা করছি। সেই সঙ্গে দেশের দানশীল বিভিন্ন ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের নিকট সহযোগিতা কামনা করছি। অগ্রণী ব্যাংক লি:, ঢোলভাঙ্গা শাখা, সঞ্চয়ী হিসাব নং ০২০০০১৭১৭৬৯৪০ ও বিকাশ ০১৭২২৯৪৯০১১।’   

সবুজ/এম. জামান

আর্কাইভ