• ঢাকা রবিবার
    ১৯ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

হাতীবান্ধায় চাচাকে হত্যার দায়ে ভাতিজা আটক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২১, ০৯:২৯ পিএম

হাতীবান্ধায় চাচাকে হত্যার দায়ে ভাতিজা আটক

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় কৃষক আব্দুল মালেক হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা তার ভাতিজা সোহেল রানা (১৯) আটক হয়েছেন। আটকের পর পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন তিনি। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়িও উদ্ধার করেছে পুলিশ।

হাতীবান্ধা থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, ওই উপজেলার দোয়ানী তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় গত ২৬ সেপ্টেম্বর নিজ বাড়ির সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন ওই এলাকার আব্দুল বারেকের ছেলে আব্দুল মালেক (৪২)। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে আব্দুল মালেকের পরিবারের অভিযোগ, পার্শ্ববর্তী একটি পরিবারের সঙ্গে তাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। মালেকের ছোট ভাই আব্দুল খালেকের ছেলে সোহেল রানা সাংবাদিকদের কাছে সেই দিন দাবি করেন, তার চাচার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী একটি পরিবার জড়িত।

কিন্তু ঘটনার ১১ দিন পর শুক্রবার দুপুরে সন্দেহ থেকে সেই সোহেল রানাকে আটক করে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ওই হত্যাকাণ্ডে নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন সোহেল রানা।

“মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও হাতীবান্ধা থানার উপ-পরিদর্শক আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, সোহেলের শারীরিক একটি সমস্যা নিয়ে তার চাচা আব্দুল মালেক প্রায় সময় উপহাস করতেন। সেই ক্ষোভ থেকে তার চাচাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন সোহেল রানা।”

পরে বাজার থেকে একটি হাতুড়ি ক্রয় করে বাড়ির সামনে বসে থাকা চাচার মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু ঘটে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়িটি পাশে একটি ডোবায় ফেলে দেয়। শুক্রবার বিকালে ওই ডোবা থেকে সেই হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।

হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা সোহেল রানাকে আটক করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়িও উদ্ধার করা হয়েছে। কি কারণে তার চাচাকে হত্যা করল তা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।

টিআর/ডাকুয়া

আর্কাইভ