প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২২, ১২:২৬ এএম
বাণিজ্যমন্ত্রী
টিপু মুনশি বলেছেন, ‘সারাটা জীবন কাজ করে
বেরিয়ে এখন লাল ফিতার
দৌরাত্ম্যে আমি নিজেই কাবু।
সরকারের এই চেয়ারে বসে
মনে হয় এটা কবে
বদলাবে!’
শনিবার
(১৯ ফেব্রুরয়ারি) দুপুরে আরডিআরএস মিলনায়তনে জাতীয় উন্নয়নে অঙ্গীকার নিয়ে শিক্ষা, শোভন
কর্মসংস্থান, জেন্ডার সমতা নিয়ে রংপুরে
এক সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য
করেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী
বলেন, ‘রংপুরের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী যথেষ্ট আন্তরিক। সেই আন্তরিকতার কারণে
রংপুরের উন্নয়ন নিয়ে অনেক পরিকল্পনা
হাতে নিয়ে এগুচ্ছে সরকার।
রংপুর অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ৬ লেনের কাজ
চলছে, শিক্ষার উন্নয়নে, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের
অবকাঠামো উন্নয়ন, কুড়িগ্রামে কৃষি বিদ্যালয়, লালমনিরহাটে অ্যারোনোটিক্যাল ইন্সটিটিউট স্থাপনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কাজ চলছে।’
তিনি
বলেন, ‘স্বাস্থ্যের জন্য রংপুরে ক্যানসার
হাসপাতালের জন্য ১ কোটি
টাকা বরাদ্দ হয়েছে। অচিরেই কাজ শুরু হবে।
কৃষি পণ্যের জন্য বহুমুখী হিমাগার
নির্মাণ, বিশেষ করে পেঁয়াজের জন্য
আলাদা হিমাগার স্থাপনের বিষয়টি জোর দেয়া হচ্ছে
বলেও জানান তিনি।’
চিনিকল
ও চা প্রসঙ্গে টিপু
মুনশি বলেন, ‘একটি চিনিকলও লাভজনক
নয়। এই দেশে যে
আখ হয়, তা দিয়ে
চিনিকল চালু রাখা সম্ভব
নয়। এই খাতে শুধু
লোকসান হচ্ছে। এ অবস্থায় চিনিকল
শ্রমিকদের বাঁচাতে বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হবে। ব্যবসায়ীদের
সঙ্গে আলোচনা করে চিনিকলগুলোকে প্রয়োজনে
বেসরকারিখাতে চিনি ছাড়া অন্য
কিছু উৎপাদন নিয়ে ভাবতে হবে।
এতে শ্রমিকেরা বেকার থাকবে না, লোকসান বন্ধ
হবে।
তিনি
আরও বলেন, ‘অর্থকারী ফসল
হিসেবে বর্তমানে চায়ের উৎপাদন ও বিপণনের জন্য
পঞ্চগড়কে ঘিরে কিছু উদ্যোগ
নেয়া হচ্ছে। অচিরেই তৃতীয় ওয়ার্কসপ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
সব মিলিয়ে সারা দেশের উন্নয়নের সঙ্গে রংপুরের উন্নয়নেও সরকার কাজ করছে। উদ্যোগগুলো
হয়তো বাস্তবায়নে ধীর গতি রয়েছে।
তবে বাস্তবায়ন হচ্ছে। কিন্তু লালফিতার দৌরাত্ম্যে অনেক কিছুই করা
সম্ভব হচ্ছে না।’
এ
সময় অনুষ্ঠানে সেন্টার ফর ডায়ালগের (সিপিডি)
গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম
মোয়াজ্জেমের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন)
সম্পাদক ড. বদিউল আলম
মজুমদার, রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র
মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি
মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন প্রমুখ।
এএমকে/ডাকুয়া