• ঢাকা শুক্রবার
    ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

ধলেশ্বরীতে লঞ্চের ধাক্কায় বাল্কহেড ডুবি

প্রকাশিত: মার্চ ২৭, ২০২২, ০১:১৯ এএম

ধলেশ্বরীতে লঞ্চের ধাক্কায় বাল্কহেড ডুবি

দেশজুড়ে ডেস্ক

মুন্সিগঞ্জের ধলেশ্বরীতে যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় সিমেন্ট বোঝাই বাল্কহেড ডুবে গেছে। শনিবার (২৬ মাচ) ভোর ৬টার দিকে মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাটের অদূরে দুর্ঘটনা ঘটে। ডুবে যাওয়া বাল্কহেডের মাস্টার, সুকানিসহ পাঁচজনই অক্ষত রয়েছেন।

বাল্কহেড ডুবির ঘটনার পর নৌযান নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান চালায় নৌপুলিশ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

প্রত্যক্ষদর্শী নৌপুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকালে মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর ক্রাউন সিমেন্ট কারখানা থেকে সাড়ে হাজার বস্তা সিমেন্ট নিয়ে পাবনার নগরবাড়ির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছিল বাল্কহেডটি। নৌযানটি মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাট এলাকায় পৌঁছালে ঢাকামুখী লঞ্চ এমভি জাহিদ- ধাক্কা দেয়। এতে বাল্কহেডটি ডুবে গেলে পাঁচজনের মধ্যে লস্কর জুয়েল রানাসহ (৩৫) মাস্টার সুফিয়ান (৩৬) বিল্লাল (৩০) এই তিনজন সাঁতরে অপর আরেকটি ট্রলারে উঠতে সক্ষম হন।

অপর দুজন সুকানি শরিফুল ইসলাম (২৮) লস্কর নুর ইসলাম (৪০) নিখোঁজ থাকেন। তাদের অনুসন্ধানে অভিযান চালায় নৌ পুলিশ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। তবে কয়েক ঘণ্টা অভিযানের চলাকালে নিখোঁজ দুজন অক্ষত অবস্থায় নিকট আত্মীয়র বাড়িতে পৌঁছানোর খবর আসে।

বিষয়ে মুক্তারপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ লুৎফর রহমান বলেন, ‘বাল্কহেড ডুবির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিখোঁজদের উদ্ধারে কাজ শুরু করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি টিমও আছে। কয়েক ঘণ্টা অভিযান পরিচালনার সময় নিখোঁজ দুজন নিকট আত্মীয়র মাধ্যমে যোগাযোগ করে আমাদের সঙ্গে। তারা নিশ্চিত করে অপর আরেকটি নৌযানে করে রাজধানী ঢাকায় পৌঁছেছেন। তাই উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পরপরই যাত্রীবাহী লঞ্চটি ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ায় তা আটক করা যায়নি।

এএমকে

আর্কাইভ