• ঢাকা রবিবার
    ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

লকডাউনের তৃতীয় দিনেও উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি

প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২১, ০৪:০৪ পিএম

লকডাউনের তৃতীয় দিনেও উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি

নোয়াখালী প্রতিনিধি

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে বিশেষ লকডাউন দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। গত ৫ জুন থেকে শুরু হয়ে এ বিশেষ লকডাউন চলবে ১১ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত। এরই মধ্যে লকডাউনের দুই দিন অতিবাহিত হয়েছে। আজ (সোমবার) এর তৃতীয় দিন চলছে। 

বিশেষ লকডাউন চললেও নোয়াখালীর মানুষের মধ্যে তেমন সচেতনতা দেখা যায়নি। গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ জেলার বেশির ভাগ সড়কে ছোট গাড়ির চাপ বেড়েছে। এমনকি স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করছে না কেউ।

সোমবার (৭ জুন) সকালে জেলা শহর মাইজদী ও নেয়াজপুর ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, বেশির ভাগ মানুষের মুখে মাস্ক নেই। দোকানপাট ও কাঁচাবাজারে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করছেই না কেউ। সড়কগুলোতে রয়েছে যানবাহনের চাপ। এমনকি কয়েকটি সড়কে যানজটেরও সৃষ্টি হয়েছে।

শহর থেকে দূরপাল্লার কোনো যানবাহন ছেড়ে না গেলেও অভ্যন্তরীণ সড়কে তিন চাকার যানবাহন, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন চলতে দেখা গেছে। শর্তসাপেক্ষে দুজন যাত্রী নিয়ে সিএনজি ও ব্যাটারি-চালিত অটোরিকশা চলার কথা থাকলেও বিধিনিষেধ মানছে না কেউই। শহরের মূল সড়ক ছাড়া ভেতরের সড়কগুলোতে দেখা গেছে সিএনজি ও অটোরিকশাগুলো ৪-৫ জন যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। এতে পৌর এলাকায় সংক্রমণ আরও বাড়ার আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্টরা।

এ দিকে লকডাউন বাস্তবায়নে শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রশাসনের তৎপরতা দেখা গেছে। বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে পুলিশের চেকপোস্ট। লকডাউন কার্যকর করতে জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছেন। মানুষকে সচেতন করতে জেলা প্রশাসন ও নোয়াখালী পৌরসভার পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।

লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়নে বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৪০টি মামলা করা হয়েছে। এতে জরিমানা করা হয়েছে ৩৩ হাজার ৫০০ টাকা।

মামুন/এম. জামান
আর্কাইভ