 
              প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২, ১০:২০ পিএম
 
                 
                            জয়পুরহাট প্রতিনিধি
জয়পুরহাট সদর উপজেলায় এক রিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধারের মামলায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের প্রত্যেককে দশ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া একই মামলার আরেক ধারায় তাদেরকে আরও পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ মো. নূর ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জেলার সদর উপজেলার বম্বু ইউনিয়নের হিচমী পশ্চিমপাড়া গ্রামের আ. বারিকের ছেলে জুয়েল (৩৮) ও সিরাজউদ্দিনের ছেলে মাহমুদুল (৪০)। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, জেলা শহরে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন জয়পুরহাট সদরের মাগনীপাড়ার জালাল উদ্দিনের ছেলে ফারুক হোসেন (১৫)। ২০০২ সালের ২৯ জুন দুপুরে ফারুক বাড়ি থেকে রিকশা নিয়ে বের হয়ে আর ফেরেননি। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুজি করেও তাকে পাননি। পরে ১ জুলাই হত্যার পর রিকশা ছিনতাই এমন সংবাদ শুনে ফারুকের বাবা জালাল উদ্দিন বম্বু ইউনিয়নের কাদিরপুর গ্রামে যান এবং তার ছেলের মরদেহ শনাক্ত করতে সক্ষম হন। এরপর ফারুকের বাবা জানতে পারেন আক্কেলপুর থানা পুলিশ জুয়েল ও মাহমুদুল নামের দুইজনকে রিকশাসহ আটক করে কোর্টে প্রেরণ করে। ফারুকের বাবা থানায় গিয়ে রিকশাটি তার ছেলে ফারুকের বলে শনাক্ত করেন এবং বাদী হয়ে ওইদিনই দুইজনকে আসামি করে জয়পুরহাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। জয়পুরহাট থানা পুলিশের তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তফা কামাল মামলাটি তদন্ত করে ওই দুজনকে অভিযুক্ত করে একই বছরের ১৫ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
জয়পুরহাট জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, ‘আসামিরা জামিনে বের হয়ে পলাতক রয়েছেন। তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করতে বিচারক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন।’
জেইউ
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      