• ঢাকা সোমবার
    ২০ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

রাঙামাটিতে প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপিত

প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২২, ০১:২৭ এএম

রাঙামাটিতে প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপিত

রাঙামাটি প্রতিনিধি

সারা দেশে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা পালিত হয়েছে আজ। বাদ যায়নি রাঙামাটিতেও। আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিন মাসের পূর্ণিমা তিথি পর্যন্ত বৌদ্ধ ভিক্ষুদের তিনমাস বর্ষাবাসের পর এ প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন করা হয়। বৌদ্ধ ভিক্ষুরা সাধনা লাভের জন্য এ তিনমাস আত্মশুদ্ধি ও মনের পবিত্রতার জন্য ধ্যান, সাধনা, ভাবনা, নীতি অনুশীলন করেন। বর্ষাবাসের বৌদ্ধ ভিক্ষুরা নিজের বৌদ্ধ বিহারের বাইরে অন্যকোনো বৌদ্ধ বিহারেও রাত্রীযাপন করেন না।

রোববার (৯ অক্টোবর) সকালে রাঙামাটি শহরের রাজবন বিহারে প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে সকাল থেকেই পঞ্চশীল গ্রহণ, প্রার্থনা, বুদ্ধ সংগীত, মোমমবাতি প্রজ্বালন করেছে। এরপর অষ্টপরিষ্কার দান, অষ্টশীলগ্রহণ, বুদ্ধপূজা প্রভৃতি আচার শেষে সকল প্রাণীর হিতার্থে ধর্মদেশনা দেওয়া হয়।

ধর্মীয় দেশনা দেন রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালঙ্কার মহাস্থবির। হাজারও পুন্যার্থীর সঙ্গে দেশনা গ্রহণ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপমন্ত্রী মনিস্বপন দেওয়ান।

অনুষ্ঠানে পুন্যার্থীদের উদ্দেশে বনভান্তের উদ্ধৃতি দিয়ে, একে অপরের প্রতি হিংসায় লিপ্ত না হয়ে সৎ চিন্তা ও সৎ কুশলকর্ম সম্পাদন পূর্বক নিজেকে আত্মসংযম রেখে বুদ্ধের নিয়মনীতি উদযাপনের আহ্বান জানিয়েছেন রাঙামাটি রাজবন বিহারের অধ্যক্ষ ও আবাসিক প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির। এসময় আরও ধর্মদেশনা প্রদান করেন রাজবন বিহারের সিনিয়র ভিক্ষু ভদন্ত জ্ঞানপ্রিয় মহাস্থবির।

প্রবারণা পূর্ণিমায় আসা পুন্যার্থীরা জানান, পৃথিবীতে সব মানুষ যেন শান্তিতে একসঙ্গে বসবাস করতে পারে। হানাহানি বন্ধ হয়। যার যার ধর্ম সঠিকভাবে পালন করতে পারে এবং সব সম্প্রদায়ের মানুষ সম্প্রীতিতে বসবাস করতে পারেন। তারা বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের মঙ্গল কামনা করেন।

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী বলেন, আজকের এই পবিত্র দিনে এটাই প্রার্থনা করেছি, আমার রাঙামাটিতে সব সম্প্রদায় যাতে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করতে পারে, শুধু তাই নয় বাংলাদেশের সব মানুষ শান্তিতে থাকুক, দেশের মঙ্গল হোক।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা বলেন, অস্ত্র বা যুদ্ধ নয় শান্ত বিশ্ব কামনা করি। যাতে প্রাণীকূল সম্প্রীতিতে বসবাস করতে পারেন।

প্রবারণা পূর্ণিমার মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে তিন মাস বর্ষাবাসের। ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী প্রবারণার পরিসমাপ্তির মধ্যদিয়ে সোমবার থেকে বিহারে বিহারে শুরু হবে দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব।

এআরআই

আর্কাইভ