 
              প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২২, ০৬:২৬ পিএম
 
                 
                            
              ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলায় জয়ন্তী রানী রবীদাসকে (৪৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করে জহর রবীদাস নামে এক যুবক। পরে জহর রবীদাস নিজেই থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করেন। জয়ন্তী রানী সম্পর্কে জহর রবীদাসের আপন চাচি।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার চেচুয়া কুড়িপাড়া গ্রামের ঋষিপাড়া এলাকায় এ খুনের ঘটনা ঘটে। গ্রেফতারকৃত জহর রবীদাস ওই এলাকার ক্ষুদিরাম রবীদাসের ছেলে। নিহত জয়ন্তী রানী রবীদাস কালুয়া রবীদাসের স্ত্রী।
মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘চেচুয়া কুড়িপাড়া গ্রামের ঋষিপাড়ার ক্ষুদিরাম রবীদাস ও কালুয়া রবীদাস দুই ভাই একই বাড়িতে বসবাস করেন। সম্প্রতি দুই পরিবারে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে মারামারির ঘটনাও ঘটে। পরে স্থানীয়রা সালিশ করে বিষয়টি মিমাংসা করে দেন। তবে, সালিশের সময় ক্ষুদিরাম রবীদাসের ছেলে জহর রবীদাস ঢাকায় ছিলেন।
খবর পেয়ে ঘটনার দিন সন্ধ্যায় জহর রবীদাস ঢাকা থেকে বাড়িতে ফিরে মাকে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পান। এতে জহর রবীদাস ক্ষুব্ধ হয়ে চাচি জয়ন্তি রানী রবীদাসকে ছুরিকাঘাত করে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা চাচি জয়ন্তী রানী রবীদাসকে উদ্ধার করে মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পরে সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথে জয়ন্তী রানী রবীদাস মারা যান।
ওসি মো. মাহমুদুল হাসান আরও বলেন, হত্যা করে জহর রবীদাস নিজেই থানায় এসে ধরা দেয়। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর মাঝে আরও কোনো ঘটনা আছে কিনা জানতে জহর রবীদাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
 
এএল/
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      