• ঢাকা শুক্রবার
    ০১ আগস্ট, ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২

শিশু ইমন হত্যায়, ৬ আসামী কারাগারে

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২২, ০১:১২ এএম

শিশু ইমন হত্যায়, ৬ আসামী কারাগারে

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে শিশু ইমন (৬) হত্যা মামলায় ৬ আসামীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বুধবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ -১ আদালতের বিচারক মো. এরফান উল্লাহ তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ প্রদান করেন।

অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ -১ আদালতের এপিপি ওয়াছ করনী লকেট এতথ্য নিশ্চিত করে বলেন, শিশু ইমন হত্যা মামলায় বুধবার যুক্তিতর্ক শেষে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আসামীরা হলেন, বেলকুচি উপজেলার চর মকিমপুর গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে আলহাজ্ব আলী (৪০), একই গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে ওসমান (২৫), মোকসেদ আলীর ছেলে গোলাম (৪৫), কোরবান আলীর ছেলে সোহেল (২৫) ও আব্দুস সোবহানের ছেলে কাওছার (২৪) ও তামাই গ্রামের ময়দান আলীর ছেলে আল-আমিন (৩৫)।

মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, শিশু ইমনের বাবা চাঁন মিয়া মালয়েশিয়ায় থাকেন। চাঁন মিয়ার স্ত্রী মমতা খাতুন দুই সন্তান নিয়ে তার বাবার বাড়ি চর মকিমপুর গ্রামে বসবাস করে। মমতা খাতুন তার চাচা আলহাজ্ব আলীর নিকট থেকে জমি কেনার জন্য ৩০ হাজার টাকা বায়না দেন। পরবর্তীতে জমি রেজিষ্ট্রি করে না দেয়ায় টাকা ফেরত চাইলে চাচা আলহাজ্ব আলী টাকা ফেরত দেয় না।

এনিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হয়। টাকা চাওয়ায় আলহাজ্ব আলী ও তার লোকজন মমতা খাতুনের ছেলের ক্ষতি করবে বলে হুমকী দেয়। এক পর্যায়ে ২০১১ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারী বিকেল থেকে মমতা খাতুনের শিশু সন্তান ইমন নিখোঁজ হয়। এঘটনায় বেলকুচি থানায় সাধারন ডায়রী করা হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর শিশু ইমনের কোন সন্ধান পাওয়া যায়না। পরবর্তীতে ২২ ফেব্রæয়ারী দুপুরে বাড়ির পাশ্ববর্তী হাফেজ হাজীর একটি পরিত্যাক্ত প্র¯্রাব খানার ভেতরে ইমনের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। তাকে পরিকল্পিত হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়।

এঘটনায় নিহত শিশু ইমনের চাচা সানোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে বেলকুচি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। বুধবার এ মামলার যুক্তিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। যুক্তিতর্ক শেষে ৬ আসামীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

 

এসএই

 

 

দেশজুড়ে সম্পর্কিত আরও

আর্কাইভ