 
              প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২২, ১০:২৮ পিএম
 
                 
                            
              সিরাজগঞ্জে বেলকুচিতে চা ল্যকর শিশু ইমন (৬) হত্যা মামলায় ৫ আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে প্রত্যেক আসামীকে ৩০২ ধারার অপরাধে ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদন্ড ও ২০১ ধারার অপরাধে দুই বছরের কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে।
এছাড়া আসামীদের মধ্যে গোলাম ও আলহাজ্বের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণীত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ -১ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ এরফান উল্লাহ এ আদেশ প্রদান করেন।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ -১ আদালতের এপিপি ওয়াছ করনী লকেট ও এপিপি মশিউর রহমান চৌধুরী এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, বেলকুচি উপজেলার চর মকিমপুর গ্রামের কোরবান আলীর ছেলে সোহেল (২৫), আব্দুস সোবহানের ছেলে কাওছার (২৪), গোলাম হোসেনের ছেলে ওসমান (২৫), তামাই গ্রামের ময়দান আলীর ছেলে আল-আমিন (৩৫) ও হিরন (৩০)। আসামীদের মধ্যে হিরন পলাতক রয়েছেন।
মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, শিশু ইমনের বাবা চাঁন মিয়া মালয়েশিয়ায় থাকেন। চাঁন মিয়ার স্ত্রী মমতা খাতুন দুই সন্তান নিয়ে তার বাবার বাড়ি চর মকিমপুর গ্রামে বসবাস করে। মমতা খাতুন তার চাচা আলহাজ্ব আলীর নিকট থেকে জমি কেনার জন্য ৩০ হাজার টাকা বায়না দেন। পরবর্তীতে জমি রেজিষ্ট্রি করে না দেয়ায় টাকা ফেরত চাইলে চাচা আলহাজ্ব আলী টাকা ফেরত দেয় না।
এনিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হয়। টাকা চাওয়ায় আলহাজ্ব আলী ও তার লোকজন মমতা খাতুনের ছেলের ক্ষতি করবে বলে হুমকী দেয়। এক পর্যায়ে ২০১১ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারী বিকেল থেকে মমতা খাতুনের শিশু সন্তান ইমন নিখোঁজ হয়। এঘটনায় বেলকুচি থানায় সাধারন ডায়রী করা হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর শিশু ইমনের কোন সন্ধান পাওয়া যায়না। পরবর্তীতে ২২ ফেব্রæয়ারী দুপুরে বাড়ির পাশ্ববর্তী হাফেজ হাজীর একটি পরিত্যাক্ত প্র¯্রাব খানার ভেতরে ইমনের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা।
এঘটনায় নিহত শিশু ইমনের চাচা সানোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে বেলকুচি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা চলাকালে ১২ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহন করা হয়। গত বুধবার মামলার যুক্তিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। যুক্তিতর্ক শেষে ৬ আসামীকে কারাগারে পাঠায় আদালত। আজ এমামলার রায় প্রদান করা হয়। 
এসএই
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      