 
              প্রকাশিত: জানুয়ারি ৭, ২০২৩, ০৫:৪৯ পিএম
 
                 
                            
              সরদারের জমিতে একটি ঝুপড়ি ঘর তৈরি করে বসবাস করেন তিনি। জীবিকা নির্বাহে তাই প্রচন্ড শীতের সকালেও ঘর থেকে ভিক্ষার জন্য বের হতে হয় তাকে।
জেলার শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনে ভিক্ষা করার সময় দেখা হয় মালেকা খাতুনের সঙ্গে। তিনি রাইজিংবিডির এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমার স্বামী আইন উল্লাহ মারা গেছেন বহু বছর আগে। একমাত্র ছেলে এখলাছ মিয়ার ৪ সন্তান ও স্ত্রী রয়েছে। অসুস্থতার কারণে ছেলে কাজে যেতে পারছে না। এ অবস্থায় জীবিকার তাগিদে আমাকে ভিক্ষা করতে হচ্ছে। কখনো ১০০ আবার কখনো ২০০ টাকার মতো পাই। এ অবস্থায় খুব অভাবে দিন কাটছে।’
হাঁপানী রোগে আক্রান্ত মালেকা খাতুনকে প্রতিমাসে ৪টি ইনহেলার কিনতে হয়। তাই খাবার কেনার আগে তাকে ইনহেলার টাকা উপার্জন করতে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, শীত প্রতিরোধে তেমন কোনো গরম কাপড়ও নেই তার কাছে।
মালেকা খাতুন বলেন, অনেক চেষ্টার পর একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড পেয়েছি। এ ভাতার টাকায় হয় না। সরকারি ঘরের জন্য আবেদন করেও লাভ হয়নি। সরকারের কাছে দাবি তারা যেন আমাকে জমিসহ একটি ঘর উপহার দেন।`
স্থানীয় মানবাধিকারকর্মী মো. আব্দুর রকিব বলেন, ‘অতিঅভাবে মালেকা খাতুনের সংসার চলছে কষ্টে। জীবিকা নির্বাহে শীতের মধ্যে তিনি ভিক্ষা করছেন। মানবিক দিক বিবেচনায় সরকারের পক্ষ থেকে তাকে আর্থিক সহায়তা ও ঘর উপহার দেওয়া উচিত। এতে তিনি কিছুটা হলেও সংসার ভালোভাবে বসবাস করতে পারবেন।’
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রাজিউড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বদরুল করিম দুলাল বলেন, সরকারি ঘরের জন্য ওই নারী আমার কাছে আসেননি। আসলে গুরুত্ব দিয়ে তাকে সার্বিক সহায়তার চেষ্টা করা হবে।
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      