 
              প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২৩, ০৩:০১ এএম
 
                 
                            
              মাস কয়েক আগেই ভিডিও প্ল্যাটফর্ম টিকটকে সুনামগঞ্জ জেলার রুয়েলের সঙ্গে পরিচয় হয় চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া স্কুলছাত্রীর। এরপর থেকেই ওই ছাত্রীকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করত রুয়েল। কিন্তু পাত্তা না পেয়ে গত তিন মাস আগে সুনামগঞ্জ থেকে চট্টগ্রামে চলে আসে সে। এসে একটি গার্মেন্টসে চাকরি শুরু করে। সেখানেই স্কুলছাত্রীকে টার্গেট করে সুযোগ খুঁজতে থাকে রুয়েল। সুযোগ বুঝে গত ৪ জানুয়ারি স্কুলে যাওয়ার পথে রুয়েল তার দুই সহযোগীসহ তাকে ফুঁসলিয়ে জোরপূর্বক অপহরণ করে। অপহরণের পাঁচ দিন পর নগরের পতেঙ্গা এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে র্যাব-৭।
আজ রোববার (৮ জানুয়ারি) দুপুর দুইটার দিকে নগরের পতেঙ্গা থানার পূর্ব কাঠগড় এলাকার একটি ভাড়াঘরে অভিযান চালিয়ে নিখোঁজ স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।এ ঘটনায় জড়িত রুয়েলসহ তার তিন সহযোগীকেও আটক করা হয়। তারা সকলেই টিকটক করত বলে জানিয়েছে র্যাব।
এই ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন – রুয়েল আহমেদ (২১), মো. অনিক (২০) ও ইমন মিয়া (১৮)। রুয়েল সুনামগঞ্জের পাইকপাড়া এলাকার ইব্রাহীম আলীর ছেলে। অনিক নেত্রকোণার কান্দাপাড়া এলাকার শাহজাহানের ছেলে। অপরদিকে ইমন সিলেটের বরুনী এলাকার মোকাদ্দেস মিয়ার ছেলে।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, ১২ বছর বয়সী ওই ছাত্রী ভুজপুর থানার একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে লেখাপড়া করত। আট মাস আগে টিকটকার রুয়েলের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। পরিচয়ের পর থেকেই রুয়েল তাকে মোবাইলের মাধ্যমে উত্ত্যক্ত করত এবং প্রেমের প্রস্তাব দিত। তিন মাস আগে রুয়েল তার নিজ বাড়ি সুনামগঞ্জ থেকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকায় তার বন্ধু অনিকের বাসায় চলে আসে এবং অনিয়মিতভাবে বিভিন্ন গার্মেন্টসে চাকরি শুরু করে।
পরবর্তীতে গত ৪ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টায় ভিকটিম স্কুলে যাওয়ার পথে ভুজপুর থানার হেয়াকো এলাকা থেকে রুয়েল তার দুই সহযোগীসহ ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে, ফুঁসলিয়ে জোরপূর্বক অপহরণ করে সিএনজি করে নগরের পতেঙ্গা থানার পূর্বকাঠঘর এলাকায় অনিকের ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। ভিকটিমের পরিবার অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে গত ৫ জানুয়ারি ভুজপুর থানার দাঁতমারা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে একটি জিডি করেন।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার তথ্যটি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ভিকটিমকে উদ্ধার এবং অপহরণের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আটক করতে আমরা গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখি। তারা টিকটক করতেন। রোববার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে নগরের পতেঙ্গা থানাধীন পূর্ব কাঠঘর এলাকার একটি ভাড়াঘর অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করি। এ সময় তিন অপহরণকারীকেও আটক করি। মেয়েটির পরিবার ভুজপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন।
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      