 
              প্রকাশিত: এপ্রিল ১২, ২০২৩, ০২:২৪ পিএম
-20230412022455.jpg) 
                 
                            
              মাদারীপুরে ইফতারি শেষে বাড়ি যাওয়ার পথে নারীসহ ১০ জনকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে মস্তফাপুর ইউনিয়নের চতুরপারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
আহতরা হলেন, হাসান মোল্লা (২৫), শাহিন মোল্লা (৪৫), লিটন মোল্লা (৪৭), দেলোয়ার মোল্লা (৫০), আদম দর্জি (৩০), কেরামত দর্জি (২৮), শহিদুল মোল্লা (৩২), রাজু ও সাহিদা বেগমসহ অন্তত ১০ জনের মতো। তারা সবাই সদর উপজেলা চতুরপারা গ্রামের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলা মস্তোফাপুর ইউনিয়নের চতুরপারা গ্রামে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইফতারির পরে নামাজ শেষে আতশবাজি ফোটান হাসান মোল্লা। এ নিয়ে ইউপি সদস্য আবুল হাসান দর্জির ছেলের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন হাসান। পরে ইউপি সদস্য এটি মীমাংসা করে দেন। এর কিছুক্ষণ পরে ইউপি সদস্যের ছেলে আক্তার দর্জি ১০ থেকে ২০ জন লোক মিলে হাসান মোল্লাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কোপাতে শুরু করে। পরে তার আত্মীয়-স্বজনরা তাকে বাঁচাতে গেলে উভয়পক্ষের অন্তত ৮ থেকে ১০ জন আহত হন। তাদের মধ্যে হাসান মোল্লার অবস্থা গুরুতর।
ভুক্তভোগী হাসান মোল্লা বলেন, ইফতারের পরে নামাজ শেষে আতশবাজি ফুটানো নিয়ে মেম্বারের ছেলের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। পরে মেম্বার বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। মীমাংসা করার কিছুক্ষণ পরেই তার ছেলে কয়েকজনকে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য আমার উপর হামলা চালায়। আমার চাচা-চাচি, ভাই-বোন আমাকে বাঁচাতে এলে তাদেরকেও কোপায়। আমরা এদের সঠিক বিচার চাই। 
                      
মাদারীপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, মারামারির ঘটনাটি শুনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।
এডিএস/
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      