• ঢাকা বৃহস্পতিবার
    ০৯ মে, ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১

কোরবানির ঈদ সামনে রেখে রাজধানীতে সক্রিয় নারী পকেটমার

প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০২৩, ০৭:৫৩ পিএম

কোরবানির ঈদ সামনে রেখে রাজধানীতে সক্রিয় নারী পকেটমার

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কোরবানির ঈদ সামনে রেখে রাজধানীতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে ‘রোরকা পরিহিত’ নারী পকেটমার চক্র। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের বিশেষ অভিযানে ছদ্মবেশী ৯ নারী পকেটমারকে গ্রেফতারের পাশাপাশি উদ্ধার করা হয়েছে ৪০টি মোবাইল ফোন।

বুধবার (১৪ জুন) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান।

তিনি বলেন, ডিএমপি গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের বিশেষ অভিযানে বোরকা পরে কোলে শিশু নিয়ে স্নেহময়ী মায়ের ছদ্মবেশে পকেট/ব্যাগ কেটে চুরি করা নারী পকেটমার ও তাদের মহাজনদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

শনিবার (১০জুন) রাজধানীর লালবাগ থানাধীন পিলখানা রোডস্থ (আজিমপুর রোড) ভিকারুন্নিসা নুন স্কুল এন্ড কলেজের (আজিমপুর শাখা) মেইন গেটের বিপরীত পাশে ও শাহবাগ থানাধীন গুলিস্তান এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

গ্রেফতার হওয়া লালবাগ থানার আসামিরা হলেন- মো. মাহাবুব হোসেন (৩২), মো. মোক্তার হোসেন (৪০), রফিকুল ইসলাম (৪২), মো. ইমরান হোসেন (২০), বর্ষা আক্তার ওরফে মীম (২২), সুমি আক্তার প্রিয়া (২৩), শাবনূর (২৭), আলেয়া ওরফে আলো (২১), সাথী আক্তার (২৬) ও মো. ইউসুফ (২২)।

গ্রেফতার শাহবাগ থানার আসামিরা হলেন- ছৈয়দ হালদার (৪০), মো. আশরাফ ঢালী (৩৮), মো. জাকির হোসেন (৩৯), মোছা. ছকিনা বেগম (৪৩), সুজনা আক্তার ওরফে সুজিনা আক্তার ওরফে রুশকিনা (২৬), মোসা. তানিয়া খান (২৭), তাসলিমা খাতুন (৩৭)।

মশিউর রহমান জানান, ডিএমপির গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিমের সদস্যরা এ অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজতে থাকা বিভিন্ন মডেলের ৪০টি চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

ডিএমপির এ উপ-পুলিশ কমিশনার জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা স্বীকার করে যে, তারা একটি সংঘবদ্ধ চোর দলের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা মহানগরের নিউমার্কেট, আজিমপুরসহ বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড, স্কুল-কলেজ, মার্কেট ও হাসপাতালে বিশেষ কৌশলে মহিলাদের ব্যাগ এবং পুরুষদের শার্ট-প্যান্টের পকেট থেকে মোবাইল ও নগদ টাকা চুরি করে আসছিল।

তিনি আরও জানান, লালবাগ থানাধীন আসামি মো. মাহাবুব হোসেন, মো. মোক্তার হোসেন, রফিকুল ইসলাম এবং মো. ইমরান হোসেনসহ আরও কয়েকজন চুরি করার কাজে কখনও কখনও সরাসরি অংশ নেন। এ চোরাই মোবাইল বিক্রি করে চোরদের মধ্যে টাকা ভাগ বাটোয়ারা করেও দেন তারা।

গ্রেফতার আসামিরা, পলাতক আসামি এবং তাদের আরও ৪/৫ জন সহযোগী আশপাশের এলাকায় মোবাইল চুরি করে চোরাই মোবাইল বিক্রির জন্য ঘটনাস্থলের আশপাশে অবস্থান করতো। একই কাজ করতো শাহবাগ থানায় গ্রেফতার আসামিরাও।

গ্রেফতার আসামিদের বিরুদ্ধে ডিএমপির বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেফতার আসামিদের বিরুদ্ধে শাহবাগ ও লালবাগ থানায় পৃথক মামলা করা হয়েছে বলেও জানান ডিএমপির এ কর্মকর্তা।

 

জেকেএস/

আর্কাইভ