 
              প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২৩, ১২:৪৯ এএম
---2023-06-14T184935105-20230614124941.jpg) 
                 ছবি: সংগৃহীত
জলাবদ্ধতা দূর করতে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা খরচ করেও মেলেনি সুফল। একরাতের বৃষ্টিতে ভাসছে সিলেট নগরী। শুধু সড়কে নয়,একদিস ঘরেও প্রবেশ করেছে পানি। এতে নগরবাসীর ভোগান্তির যেন শেষ নেই। বুধবার (১৪ জুন) সকালে ঘুম থেকে উঠেই জলাবদ্ধতার সঙ্গে শুরু হয় মানুষের যুদ্ধ।
তবে সিটি করপোরেশন বলছে, যত্রতত্র ময়লা ফেলায় ড্রেনের পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় এই সমস্যা।
জানা যায়, ২০১৮ সালে নির্বাচনি ইশতিহারে শতভাগ জলাবদ্ধতা দূর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। কিন্তু পাঁচ বছরেও ভোগান্তি না কমায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন নগরবাসী।
দুপুরে নগরীর জালালাবাদ এলাকায় সড়ক অবরোধ করে জলাবদ্ধতা সমস্যার প্রতিকারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, ‘আধাঘণ্টার বৃষ্টিতে আমাদের ঘরবাড়ি তলিয়ে যায়। কিছুক্ষণ এক নাগাড়ে বৃষ্টি হলে আমাদের ঘর-দুয়ারে পানি, কোমড় সমান পানি ভেঙে আমাদের চলতে হয়। টয়লেটসহ নিচু এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় ভোগান্তি বাড়ে চরমে।’
এ সমস্যার জন্য নগরবাসী সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, গেল পাঁচ বছরে জলাবদ্ধতা নিরসনে সিলেট সিটি করপোরেশনের ব্যয় হয়েছে প্রায় হাজার কোটি টাকা। কিন্তু সব টাকাই পানিতে গেল, জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি মেলেনি।
তবে সিটি করপোরেশন জলাবদ্ধতার দায় চাপাচ্ছেন নগরবাসীর ওপর। তাদের মতে, যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা, পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলায় ড্রেন বন্ধ হয়ে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজ রহমান বলেন, বৃষ্টি হলে বিভিন্ন নালা-নর্দমায় ফেলে রাখা পলিথিন ও প্লাস্টিকের কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় আমরা ড্রেন থেকে এসব বর্জ্য পরিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছি।  
 
জেকেএস/
 
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
       
      