• ঢাকা মঙ্গলবার
    ২১ মে, ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

রাঙামাটিতে পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে ৫ হাজার পরিবার

প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২৩, ০৮:২২ পিএম

রাঙামাটিতে পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে ৫ হাজার পরিবার

রাঙামাটি প্রতিনিধি

রাঙামাটি শহরে আজও পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে ৫ হাজার পরিবারের মানুষ বসবাস করছে। এসব ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারের লোকজনকে নিরাপদে সরে যেতে সতর্কবার্তা জারি করেছে জেলা প্রশাসন।

এদিকে গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে রাঙামাটিতে পাহাড়ধসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবারত লোকজনকে নিরাপদে সরে যেতে নির্দেশনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে শহরে মাইকিং করে এ সতর্কবার্তা প্রচার করা হয়েছে। জেলা শহরসহ প্রত্যেক উপজেলা সদরে আশ্রয় কেন্দ্র খুলে প্রস্তুত রেখেছে জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান বলেন, সদরসহ জেলায় সম্ভাব্য পাহাড়ধসের পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া আছে। জেলা প্রশাসন, পৌরসভা, ফায়ার সার্ভিস, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। যারা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান করছেন তাদের নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বলা হয়েছে।

শহর এলাকায় ৩১টি ঝুকিপূর্ণ স্থান শনাক্ত করা হয়েছে। শহরে আশ্রয় কেন্দ্র খুলে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও কাপ্তাই, নানিয়ারচর ও কাউখালীসহ বিভিন্ন উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকজনের নিরাপত্তার জন্য প্রস্তুতি থাকতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের বলে দেওয়া হয়েছে।


জেলা প্রশাসক বলেন, ২০১৭ সালে রাঙামাটিতে পাহাড়ধসে ৫ সেনা সদস্য, নারী-শিশুসহ ১২০ জনের প্রাণহানি ঘটে। ভবিষ্যতে যাতে আর সে ধরনের বিপর্যয় না ঘটে সেদিকে সবাইকে সতর্ক নজর রাখতে হবে। টানা বৃষ্টিপাত হলে যে কোনো মুহূর্তে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটতে পারে। তাই সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

২০১৭ সালের ১৩ জুন রাঙামাটিতে পাহাড়ধসে ৫ সেনা সদস্যসহ ১২০ জনের প্রাণহানির পরবর্তী ২০১৮ সালের জুনে জেলার নানিয়ারচর উপজেলায় পাহাড়ধসে ২ শিশুসহ ১১ জন এবং ২০১৯ সালের জুনে জেলার কাপ্তাইয়ে তিন জনের প্রাণহানি ঘটে।

জেলা প্রশাসন ও রাঙামাটি পৌরসভার তথ্যমতে, শহরের আনাচে-কানাচে প্রায় ৫ হাজার পরিবারের মানুষ আজও পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে বসবাস করছে। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আরও বহু পরিবারের মানুষ পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে বসবাস করছে।


এডিএস/

আর্কাইভ